ঢাকা, শুক্রবার, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২, ০৮ আগস্ট ২০২৫, ১৩ সফর ১৪৪৭

সারাদেশ

সালথায় খেলার মাঠ বেড়া দিয়ে দখলের অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:৫৫, আগস্ট ৭, ২০২৫
সালথায় খেলার মাঠ বেড়া দিয়ে দখলের অভিযোগ সংগৃহীত ছবি

ফরিদপুর জেলার সালথা উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের উত্তর চণ্ডীবরদী গ্রামের একমাত্র ফুটবল খেলার মাঠটি দখলের অভিযোগ উঠেছে।  

ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাশে অবস্থিত এই মাঠটি এলাকার প্রায় দশটি গ্রামের শিশু-কিশোর ও তরুণদের খেলার একমাত্র স্থান।

সম্প্রতি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি মাঠটিতে বেড়া দিয়ে দখলের চেষ্টা করছেন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।

জানা যায়, সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের জমি অধিগ্রহণের পর ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কাজ শেষ হলে জায়গাটি খালি পড়ে থাকে। প্রায় ১৭ বছর ধরে উত্তর চণ্ডীবরদী এবং আশপাশের গ্রামের ফুটবলপ্রেমীরা এটিকে খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন। জমির মূল মালিকরা সরকারের কাছ থেকে তাদের প্রাপ্য ক্ষতিপূরণ বুঝে পেয়েছেন।

অভিযোগ উঠেছে, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর পৌরসভার বাসিন্দা, সাবেক পৌর কমিশনার ও মুকসুদপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বাকি সরদার, তার ভাই মুকসুদপুর উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির সরদার, বোন নিলুফা বেগম এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পলাশ সরদার এই মাঠ দখলের সঙ্গে জড়িত।

মাঠে খেলতে আসা খেলোয়াড় ও দর্শকরা খেলার মাঠটি দখলমুক্ত করাসহ দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে সালথা উপজেলা জামায়াতে ইসলামী আমির মোহাম্মদ আবুল ফজল বলেন, স্থানীয়দের খেলাধুলার মাঠটি দখল হয়ে যাওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানিয়েছি। অন্যথায়, সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলে দখলদারদের প্রতিহত করা হবে।

স্থানীয় সাংবাদিক আর টি হাসান জানান, বিষয়টির সমাধানের জন্য সালথা ইউএনওকে জানানো হয়েছে এবং তিনি ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে সালথা ইউএনও মো. আনিছুর রহমান বালী বলেন, মাঠ দখলের বিষয়টি আমি শুনেছি। স্থানীয়রা আমাকে জানিয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত সমাধান করা হবে।

এদিকে অভিযুক্তদের বক্তব্য জানতে দখলকৃত স্থানে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি এবং তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব না হওয়ায় বক্তব্য নেওয়া যায়নি।

এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।