ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২, ০৭ আগস্ট ২০২৫, ১২ সফর ১৪৪৭

সারাদেশ

ঠাকুরগাঁওয়ে অবৈধ মজুদ ৭১৫ বস্তা সার জব্দ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:৪৩, আগস্ট ৭, ২০২৫
ঠাকুরগাঁওয়ে অবৈধ মজুদ ৭১৫ বস্তা সার জব্দ অবৈধ মজুদ ৭১৫ বস্তা সার জব্দ

ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় এক ব্যবসায়ীর গোপন গোডাউনে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে মজুদকৃত ৭১৫ বস্তা সার জব্দ করেছে প্রশাসন। সারগুলোর বাজারমূল্য আনুমানিক ৮ লাখ ৬০ হাজার ২৫০ টাকা।

বুধবার (৬ আগস্ট) রাত দেড়টায় পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালিত হয়।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার লাহিড়ী ইউনিয়নের ঠুমনিয়া পাগলা বাজার এলাকায় মো. করিম উদ্দিন আপন (৩২)-এর মালিকানাধীন একটি গোডাউনে এই বিপুল পরিমাণ সার অবৈধভাবে মজুদ করা হয়েছিল। তিনি লাহিড়ী বাজারের মো. শাজাহানের ভাই। তথ্য অনুযায়ী, শাহজাহানের একই পরিবারের চারটি সারের লাইসেন্স রয়েছে এবং মজুদকৃত সারগুলো তার ছোট ভাই আপনের গোডাউনে রাখা হয়েছিল।

অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মফিজুর রহমান। অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, পুলিশ সদস্য এবং স্থানীয় প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা।

জব্দকৃত সারগুলোর মধ্যে ছিল- ৪১৫ বস্তা ইউরিয়া সার, যার বাজারমূল্য আনুমানিক ৫ লাখ ৬০ হাজার ২৫০ টাকা; ৩০০ বস্তা এমওপি সার, বাজারমূল্য আনুমানিক ৩ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে জব্দ করা সারের মোট ওজন ৩৫ দশমিক ৭৫ মেট্রিক টন। গোডাউনটি তাৎক্ষণিকভাবে সিলগালা করা হয় এবং করিম উদ্দিন আপনকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ ও সারের নিয়ন্ত্রিত বিতরণ সংক্রান্ত বিধিমালা অনুযায়ী ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযান শেষে ইউএনও মফিজুর রহমান বলেন, কৃষি খাতে যেন সারের কৃত্রিম সংকট তৈরি না হয়, সেজন্য আমরা নিয়মিত মনিটরিং করছি। কেউ যদি কৃষকের ক্ষতি করে অবৈধভাবে সার মজুদ করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই অভিযান তারই একটি অংশ।

তিনি আরও জানান, জব্দকৃত সার প্রশাসনের সরাসরি তত্ত্বাবধানে ন্যায্যমূল্যে স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে বিক্রি করা হবে এবং প্রাপ্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মাজেদুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে কৃষি মৌসুম চলমান, তাই সারের চাহিদা অনেক বেশি। এ সময় কেউ অবৈধভাবে সার মজুদ করলে তা সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্ন সৃষ্টি করে। ফলে প্রকৃত কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হন। এ ধরনের কর্মকাণ্ড রোধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।