খুলনা: জীবনের শেষ মুহূর্তে আল্লামা সাঈদীর চিকিৎসা নিয়ে জাতি আজ সন্দিহান। কারণ যে চিকিৎসক আল্লামা সাঈদীর ফাঁসির দাবিতে শাহবাগে আন্দোলন করেছে সে যদি এই আসামিকে তার হাতে পায় খুন করতে দ্বিধা করবেনা।
পিরোজপুর-২ (কাউখালি, ভান্ডারিয়া ও নেছারাবাদ) আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী, আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশন ও খুলনার সিদ্দিকীয়া জামেয়া-ই-মাদানিয়া ট্রাস্টের চেয়ারম্যান শামীম সাঈদী এসব কথা বলেন।
আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী (র.) এর দ্বিতীয় শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সিদ্দিকীয়া জামেয়া-ই-মাদানিয়া ট্রাস্ট খুলনার উদ্যোগে তার জীবন ও কর্ম এর উপর আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে দারুল কুরআন সিদ্দিকীয়া কামিল মাদরাসার হাজী শেখ আব্দুর রশিদ মিলনায়তনে এ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় প্রধান অতিথি আরও বলেন, বিশ্বনন্দিত মুফাসসিরে কুরআন আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী (র.) আজীবন কুরআনের বাণী প্রচার ও দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছেন। ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় ফরমায়েসী সাজা দিয়ে সরকার তাকে দীর্ঘ ১৩টি বছর কারাগারে আটকে রেখে অবহেলা করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়। জীবিত থাকাবস্থায় আল্লামা সাঈদীর উপর বিচারের নামে অবিচার করা হয়েছে, এমনকি মৃত্যুর পর তার লাশের সাথেও নিষ্ঠুর আচরণ করেছে। শুধু আল্লামা সাঈদী নয়, জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে জুডিশিয়াল কিলিংয়ের মাধ্যমে শহিদ করা হয়েছে। এসব অবিচারের বিচার বাংলার মাটিতে হওয়া উচিত। যাতে আর কোন নিরপরাধ মানুষ এভাবে বিচারিক জুলুমের শিকার না হন। আল্লামা সাঈদী সারা বাংলাদেশে তথা গোটা বিশ্বে কুরআনের তাফসীর করেছেন, কুরআনের আলোকে জীবন গঠনে কাজ করেছেন, কুরআনের সমাজ বিনির্মাণের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
সিদ্দিকীয়া জামেয়া-ই-মাদানিয়া ট্রাস্টের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি এস এম আজিজুর রহমান সভাপতিত্বে ও মাদরাসার আরবী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাওলানা মনিরুজ্জামানের সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক ছিলেন সিদ্দিকীয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী।
এছাড়া স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাদরাসা গভর্নিং বডির সদস্য আনিসুর রহমান আরজু। অন্যান্যের মধ্যে স্মৃতিচারণ করেন মহিলা শাখার উপাধ্যক্ষ শাকিলা উম্মে নূর, সিদ্দিকীয়া মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক রিয়াজুল ইসলাম, সহকারী মৌলভী জি এম আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক ছাত্র আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক গল্লমারী শাখার ব্যবস্থাপক আব্দুল মান্নান, মাসুম বিল্লাহ মিরাজ। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন থানা শিক্ষা কর্মকর্তা মোমিনুল ইসলাম, ওহিদুজ্জামান মিথুন, মুহাদ্দিস আনোয়ার হোসেন, মুহাদ্দিস শহীদুল ইসলাম, মুফাসসির মোশাররফ হোসেন, মুফাসসির জুলফিকার আলী, সহকারী অধ্যাপক মো. আলফিদা হোসেন, মো. তায়সুর রহমান, ওমর ফারুক, রেজাউল ইসলাম প্রমুখ।
এমআরএম