বরগুনার তালতলী উপজেলার কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা মো. ইসাহাক মাঝি অভিযোগ করেছেন, ১০ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় তাকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানানোর ষড়যন্ত্র করছে একদল দুর্নীতিবাজ।
তাদের অভিযোগ, সাংবাদিকদের ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন গণমাধ্যমে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করানো হয়েছে।
শনিবার (২৩ আগস্ট) সাংবাদিক ফোরামে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ইসাহাক মাঝি বলেন, আমি মহান মুক্তিযুদ্ধের অংশ, বুকের রক্ত দিয়েছি। যারা কখনও যুদ্ধের ময়দানে পা রাখেনি, তারাই আজ আমাকে ভুয়া বানানোর চেষ্টা করছে। এটি শুধু আমার নয়, মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, সাবেক ইউপি সদস্য জালাল গাজী ২০১৫ ও ২২ সালে তার বয়স বৈধভাবে প্রত্যয়ন দিলেও এখন রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে সেই কাগজ অস্বীকার করে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এছাড়া ইউপি সদস্য থাকাকালে রাস্তার কাজের নামে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছিলেন জালাল গাজী। সেই লুটপাটে সহায়তা না করায় প্রতিশোধ নিতে তাকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
ইসাহাক মাঝি আরও জানান, ২০১০ সালে ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় জালাল গাজীর ভাই জামাল গাজী ইচ্ছাকৃতভাবে তার বয়স কমিয়ে দেন। পরে প্রতিবাদ করলে ২০১৫ সালে জালাল গাজী বয়স সংশোধন করে বৈধ প্রত্যয়ন দেন এবং ২০২২ সালে একই প্রত্যয়নপত্র প্রদান করেন। এরপরও আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এবং চাঁদার দাবির মাধ্যমে তাকে হয়রানির চেষ্টা চলছে, যা এখনও অব্যাহত।
তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়নি, তারা মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করতে পারবে না। অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে এবং আইনের মাধ্যমে সত্য প্রকাশ করতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে জালাল গাজীর মোবাইলফোন নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও রিসিভ না হওয়ার তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এসআরএস