নড়াইলের জেলা কারাগারে হত্যা মামলার আসামি ও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (ইউপি) মো. হুমায়ুন কবির (৪৬) নামে এক হাজতির চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) দিবাগত মধ্যরাত ২টার দিকে অসুস্থ অবস্থায় কারাগার থেকে তাকে নড়াইল জেলা হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মো. হুমায়ুন কবির নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বাবরা-হাচলা ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) এবং ওই ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামের মৃত খিলাফত শেখের ছেলে।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, গত তিন-চারদিন ধরে নড়াইল জেলা কারাগারে হাজতি হুমায়ুনের খুব জ্বর ছিল। কারাগারের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক তাকে চিকিৎসা দিয়েছিলেন। গতকাল (২২ আগস্ট) রাতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। রাত ১টা ৪৫ মিনিটে তাকে কারগার থেকে নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর রাত ২টা ৭ মিনিটে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হুমায়ুনকে মৃত ঘোষণা করেন। তার হাজতি নম্বর ১৫১৮/২৫।
সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক অলোক কুমার বাগচী শনিবার (২৩ আগস্ট) জানান, রাত আনুমানিক দুইটার দিকে ওই রোগীকে হাসাপাতালে আনা হয়। পরীক্ষা নীরিক্ষা করে দেখা যায় হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। কারাগারে চিকিৎসাধীন তার কাগজপত্র দেখে জানা যায়, জ্বর ছাড়াও তার হার্টের সমস্যা ছিল।
জেলা কারাগারের জেলার মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, হাজতি হুমায়ুন বেশ কয়েকদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। কারাগারের মেডিকেল অফিসারের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। রাতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়ার জন্য সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। পরে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
উল্লেখ্য, আধিপত্য বিস্তারের জেরে চলতি বছরের ১১ এপ্রিল শুক্রবার সন্ধ্যায় দুপক্ষের সংঘর্ষে ফরিদ মোল্যা (৫৭) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হন। পরে ওই ঘটনায় ১৭ এপ্রিল নিহতের স্ত্রী কালিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। আর ওই হত্যা মামলায় এজাহার ভুক্ত ৮ নম্বর আসামি করা হয় ইউপি সদস্য হুমায়ুনকে। ওই মামলায় গত ২৯ জুন আদালতে স্বেচ্ছায় হাজির হলে আদালত হুমায়ুনকে কারাগারে পাঠান।
আরএ