রাঙামাটি: একটানা তিনদিন পানি ছাড়ার পর অবশেষে কাপ্তাই বাঁধের ১৬ জলকপাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২৩ আগস্ট) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান।
তিনি জানান, বর্তমানে কাপ্তাই হ্রদে পানির স্তর রয়েছে ১০৮ দশমিক ১৫ ফুট মিনস সি লেভেল (এমএসএল)। পাঁচটি ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রতি সেকেন্ডে ৩২ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশিত হচ্ছে এবং ২২২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।
এর আগে টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এ অবস্থায় বুধবার (২০ আগস্ট) রাত ৮টায় দ্বিতীয় দফায় কাপ্তাই বাঁধের ১৬ জলকপাট ৬ ইঞ্চি খুলে দিয়ে সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি ছাড়া হয়।
এর আগে মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) রাত ১০টায় কাপ্তাই বাঁধের ১৬ জলকপাট ৬ ইঞ্চি খুলে দিয়ে সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি ছাড়ার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হলেও সেদিন রাতে পানি ছাড়া হয়নি।
এরও আগে, হ্রদে পানি বেড়ে যাওয়ায় সোমবার (৪ আগস্ট) রাত ১২টা ৫ মিনিট থেকে কাপ্তাই বাঁধের ১৬ জলকপাট ৬ ইঞ্চি খুলে দিয়ে সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি ছাড়া হয়।
পরে মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাত ১১টা থেকে জলকপাট দেড় ফুট খুলে সেকেন্ডে ৩০ হাজার কিউসেক, বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুর ১টা থেকে আড়াই ফুট খুলে সেকেন্ডে ৪৯ হাজার কিউসেক, ওইদিন রাত ১১টা থেকে তিন ফুট খুলে সেকেন্ডে ৫৮ হাজার কিউসেক এবং বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা থেকে সাড়ে তিন ফুট খুলে সেকেন্ডে ৬৮ হাজার কিউসেক পানি ছাড়া হয়।
এর এক সপ্তাহ পর গত ১২ আগস্ট সকাল ৮টায় কাপ্তাই বাঁধের ১৬ জলকপাট দিয়ে পানি ছাড়া বন্ধ ঘোষণা করে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।
পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রটির সক্ষমতা ২৩০ থেকে ২৪৫ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন।
এসআরএস