ঢাকা, শুক্রবার, ২৮ ভাদ্র ১৪৩২, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

‘দুয়ারে-দুয়ারে হাঁইট্যাও মাথা গোঁজার ঠাঁই ফাইলাম না’

বদরুল আলম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২:৫১, অক্টোবর ৪, ২০২২
‘দুয়ারে-দুয়ারে হাঁইট্যাও মাথা গোঁজার ঠাঁই ফাইলাম না’

হবিগঞ্জ: জরাজীর্ণ ঘরটিতে নেই তেমন কোনো আসবাবপত্র। সামান্য বৃষ্টি হলেই ঘরের চালার ফুটো দিয়ে ভেতরে পানি পড়ে।

তখন আশ্রয় নিতে হয় অন্যের বাড়িতে। সন্তানদের নিয়ে একযুগ ধরে এভাবেই দিনরাত কাটাচ্ছেন ইনজিলা বিবি।

মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে পরিচিত অনেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘর পেয়েছেন। কিন্তু মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে, অনেক চেষ্টা করেও মাথা গোঁজার একটা ঠাঁই পাননি ইনজিলা।

ইনজিলা বিবি হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার জলসুখা ইউনিয়নের মাধবপাশা গ্রামের মৃত আব্দুন নূর মিয়ার স্ত্রী। স্থানীয় এক ব্যক্তির বাড়ির পাশের পরিত্যক্ত এক শতাংশ জমিতে একটি ছাপড়া ঘরে তিনিসহ পরিবারের পাঁচ সদস্যের বসবাস।

সরেজমিনে দেখা গেছে, জরাজীর্ণ ছাপড়া ঘরটি প্রায় ব্যবহারের অনুপযোগী। বৃষ্টি হলেই পানিতে ভেসে যায় ঘরের মেঝে। তিন ছেলে থাকলেও বিয়ে করে তারা যার যার মতো অন্যত্র গিয়ে সংসার পেতেছেন। মেয়েটিকে বিয়ে দিয়েছেন এলাকায়। কিন্তু স্বামী চলে যাওয়ায় ওই মেয়ের তিন সন্তানসহ পাঁচজন সদস্য নিয়ে থাকতে হয় ওই ঝুঁকিপূর্ণ ঘরটিতে। ঘরটি মেরামতের সামর্থও তাদের নেই।

ইনজিলা বিবি জানান, তার নিজের কোনো জমিজমা নেই। স্বামী বেঁচে থাকতে একজনের কাছে কিছু জায়গা চেয়ে ঘরটি বানিয়েছিলেন। স্বামী মারা যাওয়ার পর সেই ঘরটি আর মেরামত করা হয়নি। তার ছেলেরাও খোঁজ-খবর রাখে না। বাধ্য হয়েই সেখানে কষ্ট করে দিন কাটাতে হয়।

তিনি আরও বলেন, হুনছি প্রধানমন্ত্রী গরীবদের ঘর দেইন। হেই আশায় মানুষের দুয়ারে-দুয়ারে হাঁইট্যাও (হেঁটে) একটা মাথা গোঁজার ঠাঁই ফাইলাম না। একথা বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

আজমিরীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা সালেহা সুমী বাংলানিউজকে জানান, আগামীতে কোনো ধরনের বরাদ্দ আসলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ইনজিলা বিবিকে যুক্ত করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০২২
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।