এ বছর রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত হলেও রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে জলাবদ্ধতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।
গত ছয় মাসে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় ৯৬ কিলোমিটার খাল খনন ও ২২০ কিলোমিটার নালা পরিষ্কার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর গুলশানের নগরভবনে ‘ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে ডিএনসিসির উদ্যোগ ও কর্মপরিকল্পনা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
প্রশাসক বলেন, বিমানবন্দর এলাকায় চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে জলাধার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেখানে স্থায়ী সমাধান এখনো সম্ভব হয়নি। আপাতত অস্থায়ী সমাধান করা হয়েছে। ভবিষ্যতে স্থায়ী সমাধানের জন্য প্রকৌশল বিভাগ, ড্রেনেজ সার্কেল ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগকে সমন্বিত করে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ধানমন্ডি, নাখালপাড়া, কাজীপাড়া-শেওরাপাড়া, মিরপুর, কালশী ও বিমানবন্দর এলাকায় খাল খনন, নালা নির্মাণ এবং পানি নিষ্কাশনের নতুন পথ তৈরির কাজ চলছে। বিশেষভাবে কল্যাণপুর, বগার মা, প্যারিস ও কসাইবাড়ি খালের পুনঃখনন অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অবহেলিত বগার মা খালের খননকাজ প্রায় শেষ হয়েছে, যার ফলে মিরপুরের ৬০ ফিট এলাকার জলাবদ্ধতা অনেকাংশে কমেছে। এ ছাড়া মোহাম্মদপুরের রামচন্দ্রপুর খালের জায়গায় বহুতল ভবন নির্মাণের বিষয়ে ডিএনসিসি, রাজউক ও জেলা প্রশাসন যৌথভাবে জরিপ করছে। জরিপ শেষে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন বলেন, নালায় পলিথিন ও প্লাস্টিক ফেলার কারণে পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হয়। ফলে কিছুদিন পর নালাগুলো আবারও আগের অবস্থায় ফিরে যায়। তাই এ প্রবণতা বন্ধ করতে হবে।
প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এ বি এম সামসুল আলম বলেন, আমাদের প্রবণতা হচ্ছে খালে যেকোনো কিছু ফেলে দেওয়া। এই প্রবণতা থেকে বের হতে না পারলে জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- ডিএনসিসির সচিবের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা প্রধান সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন-উল-হাসান, নির্বাহী প্রকৌশলী ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তারা।
এমএমআই/আরবি