নাটোর: নাটোরের সিংড়ায় বন্যা কবলিত আশ্রয়কেন্দ্রে আগুনে ঝলসে যাওয়া শিশু আব্দুল্লাহর চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
সোমবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে সিংড়া মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতি রাজু আহমেদ ও সহকর্মী সাংবাদিক রবিন খান আগুনে ঝলসে যাওয়া শিশুটির সন্ধান পেয়ে সিংড়া দমদমা পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজের আশ্রয়কেন্দ্রে যান।
এ সময় তাৎক্ষণিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপিকে মোবাইল মেসেঞ্জারে আগুনে ঝলসে যাওয়া ওই শিশুটির ছবি পাঠান তারা। এসময় প্রতিমন্ত্রী ওই পরিবারের সঙ্গে ভিডিও কলে যুক্ত হয়ে কথা বলেন এবং শিশুটির চিকিৎসার দায়িত্ব গ্রহণের আশ্বাস দেন। পাশাপাশি লোক মারফত তাৎক্ষণিকভাবে কিছু নগদ সহায়তাও পাঠান প্রতিমন্ত্রী। আব্দুল্লাহ পৌর এলাকার ৩ নম্বর ওয়ার্ড দক্ষিণ দমদমার রিকশাচালক মৃদুল আলীর ছেলে।
আব্দুল্লাহর বাবা মৃদুল আলী বাংলানিউজকে জানান, বন্যার কারণে বাড়ি ঘর ডুবে যাওয়ায় তারা সিংড়া দমদমা পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। পানি নেমে গেলেও বসবাসের জন্য উপযুক্ত হয়নি তাদের বাড়ি। এজন্য এখনো সেখানে অবস্থান করছেন তারা। গত মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় খেলাধুলা করার সময় আকস্মিকভাবে চুলার উপর পড়ে যায় আব্দুল্লাহ। এসময় গরম পানিসহ ভাতের পাতিল তার গায়ের উপর ঢেলে পড়ে। এতে তার সমস্ত শরীর ঝলসে যায়।
এ অবস্থায় তাকে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এসময় চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দেন। কিন্তু টাকার অভাবে তা সম্ভব হচ্ছিলো না। এজন্য কবিরাজের চিকিৎসা নেওয়া শুরু করেন তারা। সোমবার দুপুরে প্রতিমন্ত্রী তাকে ফোন করে ঢাকায় যেতে বলেছেন। যেন তার ছেলে দ্রুত উন্নত চিকিৎসা পায় সেজন্য সব দায়িত্ব নেবেন বলে জানান।
আব্দুল্লাহর মা রুপালী কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আমরা মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করি আল্লাহপাক তার মঙ্গল করুক।
ছেলের সুস্থতার জন্য দেশবাসির কাছে দয়া চেয়েছেন আব্দুল্লাহর মা।
প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সহকারী মাওলানা রুহুল আমিন বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০২০
আরএ