ঢাকা, রবিবার, ১ ভাদ্র ১৪৩২, ১৭ আগস্ট ২০২৫, ২২ সফর ১৪৪৭

জাতীয়

সেই শিশু এখনো অচেতন, খোঁজ মিলেছে স্বজনের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:৪৮, মার্চ ১৩, ২০২০
সেই শিশু এখনো অচেতন, খোঁজ মিলেছে স্বজনের

ঢাকা: গাজীপুরের কালীগঞ্জ থানার আজমতপুর এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া সেই শিশুটি ঢামেক হাসপাতালে এখনো অচেতন অবস্থায় রয়েছে। এরমধ্যেই মিলেছে শিশুটির এক স্বজনের খোঁজ।

শুক্রবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে শিশুটির চাচা মতিউর রহমান ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এসে তাকে শনাক্ত করেন।

শিশুটির নাম মো. মাহাবুর হোসেন (১০)।

ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার বেতগাছিয়া গ্রামের পোশাক শ্রমিক সাইদুল ইসলামের দুই সন্তানের মধ্যে মাহাবুর বড়।

মাহাবুরের চাচা মতিউর বাংলানিউজকে বলেন, গাজীপুরের পুবাইলে অবস্থিত হাজী ফজলুল হক হাফিজিয়া মাদরাসায় পড়ে মাহাবুর। তার বাবা গাজীপুরের মাওনা এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করে। শিশুটিকে সাত থেকে আট দিন ধরে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। মাদরাসা থেকে জানানো হয়, একটি ছেলে ডাক দিয়ে নিয়ে বাইরে চলে যাওয়ার পর থেকেই তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। বাবা-মা ও পরিবারের সবাই বিভিন্ন জায়গায় তার খোঁজ করেন।  একপর্যায়ে তার বাবার মোবাইলে দুইবার ফোন আসে। বলে, ‘আপনার সন্তানকে আমরা অপহরণ করেছি। ৫ লাখ টাকা দেন। ’ পরে তার বাবা পুলিশ ও র‌্যাবের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এরপর পুলিশ তদন্তে নামে শিশুর সন্ধানে। এরই মধ্যে ফেসবুকে তার ছবি দেখে আমরা তাকে খুঁজে পাই।

হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে শিশুটিকে।  ছবি: বাংলানিউজ

কালীগঞ্জ থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) কাজী কামাল মিয়া বাংলানিউজকে জানান, শিশুটির অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা ভালো হলেও এখনো অচেতন। চোখ খুলে মাঝেমধ্যে তাকালেও কোনো কথাবার্তা বলতে পারছে না।

আরও পড়ুন>> কুড়িয়ে পাওয়া শিশুর মাথায় আঘাতের চিহ্ন, দেখভাল করছে পুলিশ

এর আগে মাথায় আঘাত নিয়ে গাজীপুরের কালীগঞ্জ থানার আজমতপুর এলাকার একটি রাস্তায় পড়েছিল মাহাবুর।  ৯ মার্চ তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধারের পর ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুরু থেকে শিশুটির দেখভাল করছেন পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) কাজী কামাল মিয়া।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২০
এজেডএস/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।