ঢাকা, শুক্রবার, ২৮ ভাদ্র ১৪৩২, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

‘লিবিয়া থেকে রওনা দিয়েছিলেন ১৩০ জন বাংলাদেশি’

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:৫৩, মে ১৫, ২০১৯
‘লিবিয়া থেকে রওনা দিয়েছিলেন ১৩০ জন বাংলাদেশি’

ঢাকা: লিবিয়া থেকে নৌকাযোগে ইতালি যাওয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন ১৩০ জন বাংলাদেশি। এর মধ্যে ভূমধ্য সাগর পাড়ি দেওয়ার সময় তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে প্রায় ৪০ জন বাংলাদেশি যাত্রী নিখোঁজ হন। উদ্ধার করা হয় ১৪ জন বাংলাদেশিকে। এর মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। 

বুধবার (১৫ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে  আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.  এ কে আব্দুল মোমেন এসব তথ্য জানান।

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, লিবিয়া থেকে একটি নৌকায় ১৫০ জন অভিবাসী যাত্রী ইতালির উদ্দেশে গত ৯ মে ভোরে রওনা দেন।

তার মধ্যে ১৩০ জন যাত্রী ছিলেন বাংলাদেশি। সারাদিন চলার পরে ৯ মে  রাতে দুইটি পৃথক নৌকায় এসব যাত্রীকে তুলে দেয়া হয়।  

‘প্রথম নৌকাটি ইতালি উপকূলে পৌঁছেছে। তবে দ্বিতীয় নৌকাটি ডুবে যায়। এই নৌকায় ৭০ থেকে ৮০ জন যাত্রী ছিলেন। ধারণ ক্ষমতার অধিক হওয়ায় দ্বিতীয় নৌকাটি  ১০ মিনিটের মধ্যেই ডুবে যায়। সে সময় সবাই সাতার কেটে বাঁচার চেষ্টা করেন। কেউ কেউ তেলের ড্রাম ও ডুবন্ত নৌকার কিনারা  ধরে থেকে বাঁচার চেষ্টা করেন। এভাবে প্রায় ৭-৮ ঘণ্টা পর ১০ মে সকালে তিউনিসিয়ার কয়েকজন জেলে তাদের উদ্ধার করেন। ’

ড. মোমেন জানান, ১৪ জন বাংলাদেশি যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।  এই চারজন তিউনিসিয়ার একটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আর বাকি ১০ জন রেড ক্রিসেন্টের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।  

এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান,  ইতালি উপকূলে যে নৌকাটি  পৌঁছেছে, সেখানে ঠিক কতজন বাংলাদেশি ছিলেন, সেটা আমরা জানতে পারিনি।  

‘যারা জীবিত রয়েছেন, তারা ফিরে আসতে চাইলে ফিরিয়ে আনা হবে,’ সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৬ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৯
টিআর/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।