বুধবার (১৫ মে) দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ।
তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের পর যে আলামত পেয়েছি, সেগুলো কনফার্ম করার জন্য ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক বোর্ড সিন ক্রাইম ভিজিট করেছি।
এছাড়া যে রুমে মা ও মেয়ের মরদেহ পাওয়া গেছে, সেই বিছানায় রক্ত এবং ফ্লোরে কিছু বমি পাওয়া গেছে। এছাড়া থানায় রাখা বটি ও দু’টি ছুরি থেকে রক্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। আর তাতে কারও আঙুলের চিহ্ন আছে কি-না এবং রক্ত, বমিসহ সব আলামত সিআইডি ফরেনসিক ল্যাবে পরীক্ষায় জন্য পাঠানো হয়েছে। ছেলের গলার কাটা চিহ্নটা আত্মহত্যার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তবে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ, বিষের বোতল পাওয়া সব মিলিয়ে আত্মহত্যাই মনে হচ্ছে।
তবে রিপোর্টে যদি মায়ের শরীরে বিষের আলামত পাওয়া যায়, তাহলে বলা যাবে মা নিজে মেয়ে-ছেলেকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন। আর তা না পাওয়া গেলে তাহলে বলা যাবে, ছেলেই মা-বোনকে হত্যা করে এমনটা করেছেন।
উত্তরখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে মুহিব হাসানের মামা মনিরুল হক বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক তদন্তে এটাই প্রতীয়মান হচ্ছে যে তিনজনের মধ্যে কেউ দুইজনকে হত্যার পরে নিজেই আত্মহত্যা করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৯
এজেডএস/ওএইচ/