মঙ্গলবার (১৪ মে) দিনগত রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে পৃথক স্থান থেকে তাদের আটক করা হয়। এরআগে রাত সাড়ে ৮টার দিকে চৌমুহনী পৌরসভার আলীপুর দিঘীর পাড়ে এ হত্যার ঘটনা ঘটে।
নিহত জুহায়ের ওই এলাকার বেলাল হোসেনের ছেলে। তিনি নোয়াখালী সরকারি কলেজের ছাত্র ছিলের। আটকরা হলেন- মিরওয়ারিশপুর এলাকার আজিম হোসেনের ছেলে আবিদ হোসেন ও তার সহযোগী ফাহিমসহ মোট আট জন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন আগে আবিদের বন্ধু রাকিবকে মারধর করা হয়। এ ঘটনার জন্য কলেজছাত্র জুহায়েরকে দায়ী করে রাতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দিঘীর পাড়ে আসে আবিদ, আশ্রাফ, জনি, ফাহিম ও তার কয়েকজন বন্ধু। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে জুহায়ের, আবিদ ও তাদের বন্ধুদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
পরে জুহায়েরের কয়েকজন বন্ধু তাকে বাড়ির দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। এসময় আবিদ তাকে পেছন থেকে টেনে ধরে আবারও দিঘীর পূর্ব পাড়ে নিয়ে আসলে জুহায়েরের চিৎকার শুনতে পায় তার বন্ধুরা। পরে তারা এগিয়ে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বুধবার (১৫ মে) সকালে বেগমগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) শাহজাহান শেখ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির পর জুহায়েরকে পেছন থেকে ধরে নিয়ে তার বুকে ছুরি মারে আবিদ। ছুরিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পরে ঘটনাস্থলের আশপাশে অভিযান চালিয়ে দুই জন ও নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা আরও ছয় জনকে আটক করা হয়েছে। আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ ঘটনায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান পুলিশের এ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৪ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৯
জিপি