মঙ্গলবার (১৪ মে) রাত ১১টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন তেলিহাওর গ্রুপে ছাত্রলীগ ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফসর আজিজ গ্রুপের নেতাকর্মীর মধ্যে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ছাত্রলীগের অফিস ও সমবায় ভবনসহ কয়েকটি দোকান ভাংচুর করা হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, কুয়ারপাড় এলাকায় জুয়ার বোর্ডের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নাসির গ্রুপের উপগ্রুপ শাকিল ও আফসর আজিজ গ্রুপের উপগ্রুপ ইমনের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এরই জের ধরে সোমবার শাকিলের নেতৃত্বে হামলায় নয়ন মিয়া (১৭) নামে আফসর আজিজ গ্রুপের এক কর্মী আহত হন। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়। ওই মামলায় তেলিহাওর গ্রুপের নেতাকর্মীদের আসামি করায় ক্ষুব্ধ হয়ে তারা কুয়ারপাড়ে আফসর আজিজ গ্রুপের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও বলেন, হামলাকারীরা দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করে। তারা দেয়ালে সাটানো বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি আছড়ে নীচে ফেলে রাখে। পাশাপাশি সমবায় সমিতির একটি এবং কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করা হয়।
ছাত্রলীগ নেতা ইমন ইবনে সমরাজ দাবি করেন, জেলা স্বেচ্ছা সেবকলীগের আফসর আজিজের নিয়ন্ত্রণাধীন কুয়ারপার গ্রুপের ইয়ামীন, তাজুল ও পলাশের নেতৃত্বে হঠাৎ অতর্কিত হামলাতে নয়ন মিয়া নামে তেলিহাওর গ্রুপের এক ছাত্রলীগ কর্মী আহত হন।
হামলার ঘটনার সময় তারা কয়েক রাউণ্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করলে ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে দেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ কোতোয়ালি থানা পুলিশ রিজার্ভ ফোর্স তলব করে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) সাহাবুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, স্থানীয়ভাবে অভিযোগ মিলেছে, জুয়ার বোর্ডের নিয়ন্ত্রণ থেকেই সংঘর্ষের সূত্রপাত। আবার দলীয় নেতাকর্মীরা দাবি করছেন, ছাত্রলীগ কর্মী আহতের জেরে দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতেই সংঘর্ষ হয়েছে।
তিনি বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তবে হতাহতের বিষয়ে তিনি কিছুই বলতে পারেননি। এছাড়া এলাকায় জুয়ার বোর্ড নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এরপরও তথ্য প্রমাণ মিললে সে যেই হোক গ্রেফতার করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৪ ঘন্টা, মে ১৫, ২০১৯
এনইউ/ওএফবি