ঢাকা, শুক্রবার, ২৮ ভাদ্র ১৪৩২, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

ভুল থাকতেই পারে, দম্ভোক্তি মালিকের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:১০, মে ১৪, ২০১৯
ভুল থাকতেই পারে, দম্ভোক্তি মালিকের কারখানায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন পণ্য

ঢাকা: লাইসেন্সের মেয়াদ পেরিয়ে গেছে, পণ্য তৈরিতে ব্যবহৃত হচ্ছে মেয়াদোত্তীর্ণ কাঁচামাল। তবুও উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের মালিকের দম্ভ নিয়ে বক্তব্য, ‘একটি প্রতিষ্ঠানে ভুল থাকতেই পারে’।

মঙ্গলবার (১৪ মে) রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকার কাজলার উত্তরপাড়ায় দাঁতের যত্নে ব্যবহৃত হওয়া বিভিন্ন পণ্যের এক উৎপাদন কারখানায় অভিযান চালায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাজার মনিটরিং টিম। ‘ইভা অ্যান্ড মুকা প্রাইভেট কোম্পানিতে লিমিটেড’ নামক ঐ প্রতিষ্ঠানটি ‘পান্ডা’ ব্র্যান্ডের দাঁত মাজার পাউডার, টুথপেস্ট, টেলকম পাউডার এবং রং ফর্সাকারী ক্রিম প্রস্তুত ও বাজারজাত করে।

 

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মাসুম আরেফিনের নেতৃত্বে মনিটরিং দল কারখানাটিতে অভিযান পরিচালনা করে। এসময় দেখা যায়, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই) কর্তৃক প্রতিষ্ঠানের জন্য ইস্যুকৃত লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয় গত বছরের জুন মাসে। তবুও দেদারসে পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের উদ্দেশ্যে মোড়কজাত করা হচ্ছে সেসব পণ্য।  

এসময় মনিটরিং টিমের অভিযানে পণ্যগুলোর উৎপাদনের জন্য মেয়াদোত্তীর্ণ ক্লোব অয়েলের সন্ধান পাওয়া যায়। একইসঙ্গে পারদের কটু গন্ধে ভরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চলছিল পণ্য তৈরির কাজ।  

এতসব অনিয়মের পরেও ভাবলেশহীন প্রতিক্রিয়া ছিল প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী ইকবাল বাহারের। বেশ দম্ভ নিয়েই তিনি বলেন, আমার পণ্যের গুণগত মান খুবই ভাল। বিএসটিআই’র লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হলেও আমি আবেদন করেছি। কিছুদিন আগে তারা এসে আমার কারখানা পরিদর্শন করে গেছেন। একটি প্রতিষ্ঠানে এমন ভুল থাকতেই পারে।  

তবে তার এসব কথাবার্তা আমলে নেয়নি বাজার মনিটরিং টিম। কারখানাটির অনিয়মের কারণে ইকবাল বাহারকে এক লাখ টাকা জরিমানা করে অভিযান দল।  

এবিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মাসুম আরেফিন বলেন, এই প্রতিষ্ঠানের এসব পণ্য বানানোর অনুমোদনের মেয়াদ শেষ, তারপরেও তারা পণ্য প্রস্তুত অব্যাহত রেখেছে। এছাড়াও ক্লোব অয়েল যেটি এসব পণ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়, সেটিরও মেয়াদ শেষ। এসব মেয়াদোত্তীর্ণ কাঁচামাল পণ্যগুলোতে ব্যবহার করা স্বাস্থ্য ও ত্বকের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ এসব পণ্য খুবই স্পর্শকাতর। তাই আমাদের সংবেদনশীল ত্বকে এসব পণ্য ব্যবহার করা হলে ত্বক ও স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। এছাড়াও এধরনের কারখানায় যে মানের রাসায়নিক ল্যাব থাকার কথা, সেটিও নেই।  

কারখানার মালিককে এসব অনিয়ম পরিহার করে আইন মেনে ব্যবসা পরিচালনার জন্য এক মাসের সময় দেয় মনিটরিং দল। এরপরেও অবস্থার উন্নতি না হলে সেটি সিলগালা করে দেওয়া হবে বলে সতর্ক করেন মাসুম আরেফিন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৭ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৯
এসএইচএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।