পাশাপাশি এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের দণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৩ মে) বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু শামীম আজাদ এ রায় দেন।
দন্ডপ্রাপ্ত সামসুল আলম মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার খন্তাখালী গ্রামের মৃত মন্নান সিকদারের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, দণ্ডপ্রাপ্ত সামসুল আলম একই উপজেলার রাজপুর গ্রামের বাসিন্দা। ২০১০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর বাড়ি থেকে ভিকটিম তরুণীকে ডেকে নিয়ে যান এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন।
এ ঘটনায় ২৩ নভেম্বর ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে ধর্ষণের অভিযোগ এনে বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে প্রতারক প্রেমিক সামসুল আলমকে একমাত্র আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
পরে আদালতের নির্দেশে ঘটনার এক মাসের মাথায় মেহেন্দীগঞ্জ থানার ওসি আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
আদালত ৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ছয়জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক সামসুল আলমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন।
তবে আসামি পলাতক থাকায় বিচারক তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী আজিবর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৩ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৯
এমএস/এএ