সোমবার (১৩ মে) দুপুরে ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার কচুপাত্র গ্রামের রকমান আকনের ছেলে সহিদুল।
রায় ঘোষণা করার সময় সহিদুল ও মজিবর আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অপর আসামি দুলাল ও আনোয়ার পলাতক রয়েছেন।
মামলার বাদী শিউলীর চাচা আলতাফ হোসেন তালতলী থানায় ২০০৪ সালের ৬ জুলাই অভিযোগ করেন তার আপন ভাই জালাল তালুকদারের মেয়ে শিউলিকে ২০০২ সালে সহিদুলের সঙ্গে বিয়ে দেন। কিছুদিন সংসার করার পর ২০০৩ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর শিউলির বাবার ঘরে বসে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে সহিদুল। যৌতুক দিতে অস্বীকার করলে সহিদুল রাগ করে চলে যায়। একই সঙ্গে শিউলিও স্বামী সহিদুলের সঙ্গে শ্বশুরবাড়ী যায়। পরের দিন ১৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে শিউলির কাছে আবারও ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে সহিদুল।
শিউলি যৌতুক দিতে অস্বীকার করলে তারা লাঠি দিয়ে শিউলিকে বেদম মারধর করে। এতে গুরুতর আহত হয় শিউলি। এসময় পানি পান করার জন্য চিৎকার করলে অন্য আসামিরা শিউলির হাত পা চেপে ধরে এবং সহিদুল শিউলির মুখে বিষ ঢেলে দেয়।
পরে সহিদুল এবং ওই আসামিরা শিউলির বাবা জালাল তালুকদারকে ফোন করে জানায় শিউলি বিষ পান করে আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনায় তালতলী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়। ময়নাতদন্তে রির্পোটে দেখা যায় শিউলির শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শিউলি আত্মহত্যা করেনি। তাকে হত্যা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় মামলা হলে তদন্তকারী কর্মকর্তা শামসুল হক ২০০৫ সালের ৩১ আগস্ট দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। অপর ৬ জন আসামিদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
মামলার বাদী শিউলির চাচা আলতাফ হোসেন বলেন, সহিদুলকে ফাঁসি দিলে আমরা খুশি হতাম।
আসামি সহিদুল বাংলানিউজকে জানান, এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৯ ঘণ্টা, ১৩ মে, ২০১৯
আরএ