রোববার (১২ মে) রাত ১১টার দিকে শিশুটিকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এরআগে সকাল ১০টার দিকে শিশুটি চুরি হয়।
উদ্ধার হওয়া শিশু আবদুল্লাহ বরগুনা সদর উপজেলার ৯ নম্বর এম বালীয়াতলী ইউনিয়নের উরবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা নাসির সিকদারের ছেলে।
শিশুটির বাবা নাসির সিকদার জানান, ওই নারী আমার দুঃসম্পর্কের ভাগনী হয়। সে প্রায় ১০ বছর পর ঢাকা থেকে বরগুনায় গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে এসেছে। সকাল ১০টার দিকে জেসমিন আমাদের বাড়িতে এসে সবার খোঁজখবর নেয়। এরপর জামাকাপড় কেনার কথা বলে আমার ছেলে আবদুল্লাহকে নিয়ে বাড়ি থেকে বাজারের উদ্দেশ্য বেরিয়ে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে করে বরিশাল রওয়ানা করে। এসময় আমার এলাকার এক লোক তাকে দেখে আমাকে খবর জানায়। পরে আমি বরগুনা থানায় অভিযোগ করি।
বরগুনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সিদ্দিকুর রহমান জানান, থানায় অভিযোগের পর আমরা খবর পেয়েছি পটুয়াখালী থানার কাঁঠালিয়া এলাকায় এক নারীকে বাচ্চাসহ আটকে রেখেছে এলাকাবাসী। সেখানে গিয়ে অভিযোগকারীর ঘটনা সত্যতা পেয়ে বাচ্চাসহ ওই নারীকে বরগুনা থানায় নিয়ে আসি। এসময় তার কাছ থেকে দুই লাখ ৬২ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।
বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবির মোহাম্মদ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, আটক নারী অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে হাসপাতাল নেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা দায়েরের পর সকালে কারাগারে পাঠানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৯
এসএইচ