ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

রোহিঙ্গা ছেলেধরা সন্দেহে ৫ মানসিক রোগীকে নির্যাতন

উপজেলা করসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫:৫১, মে ১৩, ২০১৯
রোহিঙ্গা ছেলেধরা সন্দেহে ৫ মানসিক রোগীকে নির্যাতন

বেনাপোল (যশোর): যশোরের বেনাপোলে রোহিঙ্গা ছেলেধরা সন্দেহে ৫ মানসিক রোগীকে শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে আহত করেছে এলাকাবাসী। পুলিশ আহতাবস্থায় তাদের পাঁচজনকে উদ্ধার করে চিকিৎসা শেষে পরিবারের কাছে তুলে দিয়েছে।

গত দু’দিনে ৫ মানসিক রোগীকে জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশ।

উদ্ধার হওয়া মানসিক ভারসাম্যহীন নারী-পুরুষরা হলেন, যশোরের রায়পুর ইউনিয়নের বাঘারপাড়া উপজেলার শালবরাত গ্রামের বুলু(৭০), সিলেটের দক্ষিণসার গ্রামের মেশের আলীর ছেলে গিয়াসউদ্দীন (৩৩),  সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার শৃকলম গ্রামের সকিনা বেগম(৪৮), গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি উপজেলার রানদিয়া গ্রামের নমিতা রানী (৪২) ও অন্য এক নারী হলেন মনোয়ারা(৩৬)।

পুলিশ জানায়, বেনাপোল সীমান্তের বিভিন্ন জায়গা থেকে পরপর খবর আসে রোহিঙ্গা ছেলেধরা আটক করা হয়েছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে  আহত অবস্থায় তাদের  জনরোশের কবল থেকে  উদ্ধার করে। চিকিৎসা দিয়ে নামপরিচয় জানা চেষ্টা করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরিচয় জানা যায়। পরিবারের ভাষ্য মতে, তারা সবাই মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে বাড়ি থেকে অনেক দিন ধরে নিখোঁজ ছিল।  

স্থানীয় বাসিন্দা আরিফ জানায়, প্রথমে বেনাপোল মাছ বাজারে এক বৃদ্ধ নারীকে রোহিঙ্গা ছেলে ধরা সন্দেহে স্থানীয়রা মারধর করে পুলিশে দেয়। এরপর পরই এলাকায় রোহিঙ্গা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।  স্থানীয়রা এলাকায় অবস্থানরত মানসিক ভারসাম্যহীন সব পাগল শ্রেণির নারী, পুরুষকে রোহিঙ্গা ছেলেধরা সন্দেহে মারধর করে পুলিশে দিতে শুরু করে।

বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশের সহকারী উপ পরিদর্শক(এএসআই) শাহিন জানান,  শিশুদের অবিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে শেষ পর্যন্ত মনে হয়নি আটকরা ছেলেধরা। এছাড়া তারা কেউ রোহিঙ্গা না। শেষ পর্যন্ত  স্থানীয় চেয়ারম্যানদের জিম্মায় উদ্ধার হওয়া পাঁচ নারী, পুরুষকে তাদের নিজ নিজ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ০১৪৩ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৯
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।