স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে রোববার (১২ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ তিনটি উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় ঘটনাস্থলে একটি চিরকুট পাওয়া যায়।
মৃতরা হলেন- মা জাহানার খাতুন মুক্তা (৪৭), ছেলে মুহিব হাসান রশ্মি (২৮) এবং প্রতিবন্ধী মেয়ে তাসফিয়া সুলতানা মিম (২০)। জাহানার খাতুনের স্বামী মৃত ইকবাল হোসেন, তিনি ২০১৬ সালে মারা যান। তাদের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলা জগন্নাথপুর গ্রামে।
উত্তরখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, তিন মৃতদেহ উদ্ধারের সময় ঘটনাস্থলে মোবাইল চাপা দেওয়া অবস্থায় একটি চিরকুট পাওয়া যায়। যাতে কয়েকটি লাইন লেখা ছিল। এর মধ্যে একটি লাইনে ছিল ‘আমাদের মৃত্যুর জন্য ভাগ্য ও আত্মীয় স্বজনদের অবহেলা দায়ী’। ওই চিরকুট নিয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এটা কি তারাই লিখেছেন কিনা।
তিনি বলেন, রুমের ভেতর রান্নাঘরের দুয়ারের সামনে থেকে একটি বটি উদ্ধার করা হয়। সব বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে আমরা জানতে পেরেছি তারা চলিত মাসের ৭ তারিখে এই একতলা বাড়িটি ভাড়া নিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি আত্মহত্যা। পুলিশ আরও তদন্ত করে দেখছে যে তিনজনের একজন দু’জনকে মেরে তিনি নিজেও আত্মহত্যা করেছেন কি না।
ওসি জানান, রাতে দুর্গন্ধ পেয়ে প্রতিবেশীরা থানায় সংবাদ দেয়। পরে ঘরের দরজা ভেঙে পুলিশ তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। নিহত তিনজনেরই নিকটাত্মীদের খোঁজ-খবর পাওয়া গেছে। তাদের বিষয়ে আরও তথ্য নেওয়া হচ্ছে।
মরদেহ তিনটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ০১২০ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৯
এজেডএস/এসএইচ