সাভার (ঢাকা): ঈদ যাত্রার প্রথম দিনে সাভারে বিকেলে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে ধীরগতির পর রাতের পালায় স্বস্তি ফিরেছে মহাসড়কে। তবে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার মহাসড়কে ধীরগতি ছিল।
বুধবার (০৪ জুন) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকা-আরিচা ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বলিয়ারপুর থেকে হেমায়েতপুর পর্যন্ত সাভারমুখী লেনে ৬ কিলোমিটার ও একই সড়কের ব্যাংকটাউন থেকে গেন্ডা পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বলিভদ্র বাজার থেকে নবীনগর পর্যন্ত উভয় লেনে ৪ কিলোমিটার এবং কবিরপুর থেকে জিরানি পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটারে যানবাহনে ধীরগতি লক্ষ্য করা যায়। তবে রাত ১০ টার পর থেকে স্বাভাবিক হয় সাভারের সড়ক মহাসড়কে যান চলাচল।
আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মমিনুল ইসলাম ভূইয়া বাংলানিউজকে বলেন, গতকাল রাত পর্যন্ত গত এপ্রিল মাসের প্রায় ৯০ শতাংশ কারখানার বেতন মে মাসে ২০ শতাংশ পোশাক কারখানার বেতন ও ৬০ শতাংশ বোনাস প্রদান করা হয়েছে। আজ বুধবার প্রায় ৬০ শতাংশ পোশাক কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হবে। অবশিষ্ট কারখানা আগামীকাল ছুটি হয়ে যাবে।
সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছালেহ আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, শিল্পাঞ্চলের অধিকাংশ কারখানায় ছুটি ঘোষণা করায় বিকেলের পর থেকে সাভারের বাসস্ট্যান্ড গুলোতে ঘরে ফেরা মানুষের চাপ বেড়ে যায়। যাত্রীর চাহিদা অনুযায়ী সড়কে যানবাহনের সংখ্যাও বেড়ে যায়। এ কারণে ঢাকা-আরিচা ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইলসহ বেশ কিছু জায়গায় যানবাহনের ধীরগতির সৃষ্টি হয়। তবে কোথাও যানজটের সৃষ্টি হয়নি। এমনকি রাত হওয়ার সাথে সাথে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
ঢাকা জেলা উত্তর ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর (টিআই) গোলাম সারোয়ার বলেন, এবারের ঈদ যাত্রায় সাভারের সড়ক-মসড়কে এখন পর্যন্ত যানজটে সৃষ্টি হয়নি। তবে বিকেলে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ ছিল যা বর্তমানে স্বাভাবিক। আমরা ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে দিন রাত সড়কে রয়েছি।
এমএম