ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২, ২২ জুলাই ২০২৫, ২৬ মহররম ১৪৪৭

জাতীয়

‘মৃত ভোটাররাই অর্থ অপচয়ের কারণ’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১:২৩, জানুয়ারি ২৬, ২০১৭
‘মৃত ভোটাররাই অর্থ অপচয়ের কারণ’ ‘মৃত ভোটাররাই অর্থ অপচয়ের কারণ’

গাজীপুর: মৃত ভোটাররাই বিভিন্ন সমস্যা ও অর্থের অপচয়ের কারণ বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. জাবেদ আলী।

নির্বাচন কমিশনার মো. জাবেদ আলী বলেন, প্রকৃত তথ্য না পাওয়ায় অনেক ক্ষেত্রেই হালনাগাদ ভোটার তালিকায় নাম যুক্ত এবং স্মার্টকার্ডও তৈরি হচ্ছে মৃত ব্যক্তিদের নামে।

মৃত ভোটারদের তথ্য দিয়ে নাম কর্তনে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন কমিশনার।

সবার সহযোগিতা পেলে নিখুঁত, পরিচ্ছন্ন ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ভোটার তালিকা সংরক্ষণ করা সম্ভব বলেও জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ছবিসহ ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যকম উপলক্ষে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার।

গাজীপুরের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) জামিল আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডা. গোলাম আলী হায়দার খান, গাজীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান, জকিস্মৃতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবা রহমান, জয়দেবপুর সরকারি প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বদরুন্নেছা প্রমুখ।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, অনেক স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচন অফিসে তাদের সমর্থনে এক শতাংশ ভোটারদের যে নামের তালিকা জমা দেন তাতেও দু-একটি মৃত ভোটারদের নাম থেকে যায়। এসব প্রমাণ হওয়ার পর অনেক ক্ষেত্রে প্রার্থীর প্রার্থিতাও বাতিল হয়েছে। শুধু তাই নয় মৃত ব্যক্তিদের নামে লেমিনেশন করা ভোটার আইডি কার্ড এবং স্মার্ট কার্ডও তৈরি হয়েছে।

প্রতি লেমিনেশন কার্ড তৈরিতে দুই টাকা ৩৪ পয়সা এবং প্রতি স্মার্টকার্ড তৈরিতে খরচ পড়েছে ৮০ টাকা। এসব তৈরিতে ১৬-১৮ কোটি টাকা অপচয় হয়েছে। সঠিক সময়ে ভোটারদের মৃত খবর পেলে এবং ভোটার তালিকা থেকে তাদের নাম কর্তন করা গেলে ওই অপচয় হতো না। মৃত্যুর খবর সঠিক সময়ে পৌঁছানোর জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার-দফাদারদেরও প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। তারপরও তা সঠিক সময়ে আসছে না।

নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, বছরে বাংলাদেশে প্রায় শতকরা দশমিক ৫৬ শতাংশ মানুষ মৃত্যুবরণ করছে। আমাদের হিসাবে ভোটার হয় প্রায় শতকরা আড়াই ভাগ। মৃতের হার যদি গড়ে শতকরা দশমিক ৫৬ শতাংশ হয়, তাহলে তো ভোটার তালিকায় বিরাট রকমের কর্তন হওয়ার কথা। তা যদি না হয়, ভোটার তালিকা নিখুঁত হবে না।

এছাড়া হাসপাতালে কোনো ভোটার মারা গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে মৃত ব্যক্তির ভোটার আইডি কার্ডের নম্বরসহ মৃত্যু সনদ সরবরাহ এবং সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার কাউন্সিলর এবং ইউপি চেয়ারম্যান-সদস্যদের ভোটারদের মৃত্যু তালিকা সরবরাহের পরামর্শ দেন নির্বাচন কমিশনার।

৩১ জানুয়ারির মধ্যে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা তৈরি হচ্ছে। এ সময়ের মধ্যে তিনি ভোটারদের তথ্য হালনাগাদ করার তাগিদ দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৭
আরএস/এএটি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।