ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২, ২২ জুলাই ২০২৫, ২৬ মহররম ১৪৪৭

জাতীয়

বিমান দুর্ঘটনা: বিভিন্ন হাসপাতালে এখনো ভর্তি ৬৯ জন 

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:১৭, জুলাই ২২, ২০২৫
বিমান দুর্ঘটনা: বিভিন্ন হাসপাতালে এখনো ভর্তি ৬৯ জন  জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী সায়েদুর রহমান কথা বলছেন

উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনায় বিভিন্ন হাসপাতালে আহত ৬৯ জন এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী ২৯ জন মারা গেছেন।

 

মঙ্গলবার (২২ জুলাই) জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী সায়েদুর রহমান এ তথ্য জানান। এসময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম উপস্থিত ছিলেন।  

অবশ্য আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) দেওয়া তথ্যানুযায়ী এ পর্যন্ত ৩১ জন মারা গেছেন।  

তিনি বলেন, আইএসপিআরের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করেছি। তারা লুবনা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড কার্ডিয়াক সেন্টারে দুইজনের মৃত্যুর কথা উল্লেখ করেছেন।  

তবে হাসপাতাল থেকে এটি মুখে বলা হয়েছে। রেকর্ডে এ তথ্য নেই। তারা স্পট ডেথ ছিল। পরে পরিবার এসে তাদের লাশ নিয়ে যায়। এছাড়া সিএমএইচে আমরা ১৫ জনের কথা বলেছি। তবে তারা ১৬ জনের কথা বলেছেন। রোগীরা বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। সেকারণে তথ্যে কিছুটা কমবেশি হচ্ছে। আমরা সমন্বয় করার চেষ্টা করছি।  

তিনি বলেন, এছাড়া উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে ৬০ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। লুবানাতে ১৩ জনের মতো। সেসব হাসপাতালে এখন তেমন কোনো রোগী ভর্তি নেই।  

তিনি বলেন, আমাদের এখানে ইতোমধ্যে মাল্টিডিসিপ্লিনারি টিম ঢাকায় বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ (বিএমইউ) সব প্রতিষ্ঠানে ৮টি ডিসিপ্লিনে একটি টিম অপরেট করছে। আমাদের সঙ্গে সিঙ্গাপুরের যে হাসপাতালের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা আছে, ইতোমধ্যে তাদের কেস পাঠানো হয়েছে। তাদের একজন কনসালটেন্ট এবং দুজন নার্স আজ রাত ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে এসে পৌঁছাবেন। আমরা আশা করি আগামীকাল তারা যোগ দিতে পারবেন৷ 

তিনি বলেন, এই হাসপাতালে যারা ভর্তি আছেন, তাদের মধ্যে দুজনকে আমরা কেবিনে নিয়ে যেতে পেরেছি। এছাড়া মাল্টিডিসিপ্লিনারি মূল্যায়নে ১০জনকে শঙ্কামুক্ত বলে আমি মনে করি। এছাড়া ৩০ জন মাঝামাঝি অবস্থায় আছে। তারমধ্যে ১০ জন শঙ্কায় রয়েছে। এখানে মাইলস্টোনের দুজন শিক্ষক মৃত্যুবরণ করেছে। এর মধ্যে একজনের পেশা আমরা আগে থেকে নিশ্চিত করতে পারিনি।  

তিনি বলেন, এখানে এখন ৭০ থেকে ৮০ ধরনের ওষুধ প্রয়োজন, যা সংগ্রহ করা আছে ৷ ৭২ ঘণ্টার প্রস্তুতি আমাদের আছে। সিঙ্গাপুর থেকে যারা আসবেন, তারাও যন্ত্রপাতি নিয়ে আসবেন। যদি কোনোকিছুর প্রয়োজন পড়ে, তাহলে আমরা সরকার থেকে ব্যবস্থা করব।  

তিনি বলেন, এখানে সংখ্যার পীড়াপীড়ি নেই। হাসপাতালে ৬৯ জন ভর্তি আছে। ঢাকা মেডিকেল থেকে তিনজনকে এখানে আনা হয়েছে। সিএমএইচ থেকে তিনজন আসার ব্যাপার সুপারিশ করা হয়েছে।  

এফএইচ/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।