ঢাকা, রবিবার, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২, ২৯ জুন ২০২৫, ০৩ মহররম ১৪৪৭

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘সরকার এখতিয়ার বহির্ভূত কতগুলো কাজ করছে, যা সংস্কারের আলোচনায় নেই’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:৪৪, জুন ২৮, ২০২৫
‘সরকার এখতিয়ার বহির্ভূত কতগুলো কাজ করছে, যা সংস্কারের আলোচনায় নেই’

চট্টগ্রাম: বন্দর বিদেশিদের কাছে ইজারা না দেওয়াসহ ৪ দাবিতে ‘সাম্রাজ্যবাদবিরোধী দেশপ্রেমিক জনগণ’ ব্যানারে রোডমার্চ করেছে বাম সংগঠনগুলো।

শনিবার (২৮ জুন) বিকেলে চট্টগ্রামের বারেকবিল্ডিং মোড়ে সমাবেশের মধ্য দিয়ে রোডমার্চ শুরু হয়।

এতে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, আওয়ামী লীগ এদেশের জনগণের কথা বলার অধিকার, ভোটাধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। আমরা গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়ে স্বৈরাচার হটিয়ে গণতন্ত্রের সংগ্রামে জয়ী হলাম।

আমরা শোষণমুক্তির কথা বললাম। আমরা আশা করেছিলাম, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী এই সরকার, অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় এসে জনগণের সেই দায়িত্ব পালন করবে। এত বড় হত্যাকাণ্ড, তার বিচারের কাজ দৃশ্যমান করবে। প্রয়োজনীয় সংস্কার করবে, নির্বাচনের জন্য যা যা সংস্কার করা দরকার, তা-ই করবে। আর গণতন্ত্রের পথে যাত্রার জন্য নির্বাচন দেবে।

তিনি বলেন, ‘কিন্তু আমরা ক্ষোভের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, সরকার এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে এমন কতগুলো কাজ শুরু করেছে, যা তাদের সংস্কারের আলোচনায় নেই। ওই যে বন্দর ভবন দেখা যায়, আপনারা চট্টগ্রামের মানুষ, বন্দর কি সংস্কারে ছিল ? না, এটা তো ছিল না। তাহলে বন্দর লিজের কথা উঠল কেন? বন্দর কি লোকসানি প্রতিষ্ঠান ? না, এটা তো লাভজনক প্রতিষ্ঠান।

করিডোর প্রসঙ্গে সিপিবি নেতা রুহিন বলেন, মিয়ানমার-রোহিঙ্গায় ভুক্তভোগী চট্টগ্রামের জনগণ। তা রোহিঙ্গাদের নিয়ে যায় না কেন? জাতিসংঘের মহাসচিব বলেছিলেন- এখানে বহুপাক্ষিক সমাধান করতে হবে, উনারা করলেন না। বরং নতুন করে কি বললেন? রাখাইনকে না কি করিডোর দেবেন, চ্যানেল দেবেন। আমরা বলছি, সেখানে যুদ্ধ চলছে, সেখানে করিডোর দেয়া মানে বাংলাদেশকে সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধে জড়িয়ে ফেলা। এটা আমরা হতে দেব না।

চট্টগ্রাম জেলা সিপিবির সভাপতি অশোক সাহা’র সভাপতিত্বে এবং বাসদের জেলা ইনচার্জ আল কাদেরি জয়ের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- বাসদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, বাসদ (মার্ক্সবাদী) ও গণতান্ত্রিক বাম জোটের সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চার সমন্বয়ক ও গণমুক্তি ইউনিয়নের সমন্বয়ক নাসিরউদ্দিন আহম্মদ, বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলনের আহ্বায়ক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, বাংলাদেশের সোশ্যালিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।  

এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।