ঢাকা, শুক্রবার, ৬ ভাদ্র ১৪৩২, ২২ আগস্ট ২০২৫, ২৭ সফর ১৪৪৭

সারাদেশ

ইসলামি বিষয়াবলীর প্রতিযোগিতায় বিচারক সনাতনি শিক্ষক 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:৪৬, আগস্ট ২১, ২০২৫
ইসলামি বিষয়াবলীর প্রতিযোগিতায় বিচারক সনাতনি শিক্ষক 

যশোর: পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উপলক্ষে যশোর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রতিযোগিতায় সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষকদের বিচাকর করায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।  

বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিযোগিতার বিষয় ছিল কোরআন তেলোয়াত, হামদ ও নাত, ইসলামি সংগীত, কুইজ ও রচনা। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহণ করে।  

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন গ্রুপে মোট সাতজন শিক্ষক বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন। তাদের মধ্যে প্রভাতী শিফটে চতুর্থ শ্রেণিতে পলাশ কুমার রায়, পঞ্চম শ্রেণিতে রাজু বিশ্বাস ও ষষ্ঠ শ্রেণিতে শ্রাবণী পাল, দিবা শাখায় তৃতীয় শ্রেণিতে অনিতা রাণী দাশ, ষষ্ঠ শ্রেণিতে নন্দ কুমার অধিকারী, অষ্টম শ্রেণিতে অমিতা গুপ্ত ও দশম শ্রেণিতে মৃনালিনি ভদ্র বিচারক ছিলেন।

একাধিক অভিভাবক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ধর্মীয় বিষয়াবলীর ওপর প্রতিযোগিতায় সাধারণত সেই ধর্ম বিষয়ে অভিজ্ঞরাই বিচারকের ভূমিকা পালন করে থাকেন। কিন্তু, যশোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে যা করা হলো তা দুঃখজনক। এটা কেন করা হলো তাও বোধগম্য হচ্ছে না বলেন অনেক অভিভাবক।  

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম মিডিয়াকে বলেন, ‘কোরআন তেলাওয়াতে কোনো হিন্দু শিক্ষককে বিচারক করা হয়নি। তবে, অন্যান্য প্রতিযোগিতায় হিন্দু শিক্ষকদের বিচারক করা হয়েছে। এর আগে কী হয়েছে না হয়েছে সেটি আমি জানিনা’।

এসএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।