ঢাকা, বুধবার, ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২, ১৩ আগস্ট ২০২৫, ১৮ সফর ১৪৪৭

সারাদেশ

মনে হচ্ছে হাসিনার পরামর্শে দেশ চালাচ্ছে ইউনূস সরকার: রাশেদ খান

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:৪০, আগস্ট ১২, ২০২৫
মনে হচ্ছে হাসিনার পরামর্শে দেশ চালাচ্ছে ইউনূস সরকার: রাশেদ খান বক্তব্য দিচ্ছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান। ছবি: বাংলানিউজ

ঝিনাইদহ: দেশের বর্তমান অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার হাসিনার পরামর্শে দেশ চালাচ্ছে—এ কথা বলেছেন গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান।

তিনি আরও বলেছেন, প্রত্যেক উপদেষ্টা দুর্নীতি করছেন।

তারা আখের গোছাতে ব্যস্ত। জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ থেকে শুরু করে সব কিছুতেই দুর্নীতির ছোঁয়া লেগে আছে। চলমান সংস্কার, খুনিদের বিচার ও দেশের বর্তমান অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে ড. ইউনূস সরকার হাসিনার পরামর্শে দেশ চালাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে দেশ থেকে মুজিববাদ ও ফ্যাসিবাদের বিলোপ হবে না।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দুপুরে ঝিনাইদহ শহরের ফ্যামিলি জোন নামে একটি রেস্টুরেন্টে ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে ২০২৪ সালের রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন এবং একটি সফল গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্র সংস্কারে করণীয় শীর্ষক” এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় রাশেদ খান এ কথা বলেন।

গণঅধিকার পরিষদের এ নেতা বলেন, চুনোপুটিদের নয়, খুনি শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান কামাল ও শামীম ওসমানদের দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির দড়িতে ঝোলাতে হবে। এ নিয়ে জাতি কোনো টালবাহানা সহ্য করবে না। প্রয়োজন হলে আরও ১০টি ট্রাইব্যুনাল বসাতে হবে। টাকা না থাকলে জনগণ টাকা দেবে।

ঝিনাইদহ জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি শাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে দলের জেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল জাহিদ রাজন, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি রাকিবুল হাসান রকিব, যুবনেতা মো. মিশন আলী, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক মো. রায়হান হোসেন রিহান, মো. মাহফুজ রহমান, মো. হালিম পারভেজ, মো. নাহিদ হাসনান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

রাশেদ খান এনসিপির সমালোচনা করে বলেন, এই দলটি সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছে। এটা আমার কথা নয়, টিআইবি প্রধান তাদের ‘কিংস পার্টি’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তাছাড়া এনসিপিসমর্থিত দুই উপদেষ্টা পদ নিয়ে দেশ চালাচ্ছেন। তারপরও হাসনাত আবদুল্লাহরা ড. ইউনূস সরকারের সমালোচনা করছেন। তাদেরও ভুল ভাঙতে বসেছে।

তিনি বলেন, যারা হাসিনার মতো স্বৈরশাসককে পরাজিত করতে পেরেছে, তারা আজ নানা কলঙ্কের তিলক মাথায় নিচ্ছেন, চাঁদাবাজিতে লিপ্ত হচ্ছেন, মানুষ ও সমাজের কাছে এসব বীর হেয় হচ্ছেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ছাত্রদের কলঙ্কিত করল কারা? যে সরকার শহীদদের তালিকা তৈরি করতে পারে না, তাদের কাছ থেকে জাতি কী আশা করতে পারে? 

জাতিসংঘের তদন্তে জুলাই অভ্যুত্থানে নিহতের সংখ্যা চৌদ্দশ, কিন্তু জুলাই ঘোষণাপত্রে এ সংখ্যা এক হাজার করা হলো—এটা কেন এবং কীভাবে হলো, সে প্রশ্ন তোলেন রাশেদ খান।

তিনি গণঅভ্যুত্থানের শক্তিকে মাঠে থেকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, মাঠে না থাকলে আওয়ামী লীগ মাঠ দখল করে অরাজকতা সৃষ্টি করতে পারে। ইতিমধ্যে তারা এমন ষড়যন্ত্র করে বসে আছে। তাই সবাই কোনো না কোনো কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে থাকতে হবে। ১৪-দল ও জাতীয় পার্টি নানা ছুতোয় নির্বাচন করতে চাইবে, তাদেরও প্রতিহত করতে হবে। কারণ তারাও হাসিনার উচ্ছিষ্টভোগী।  

‘ডামি’, ‘আমি’ বা যেকোনো নামে তাদের নির্বাচন করার সুযোগ নেই মন্তব্য করে রাশেদ খান ২০১৪, ২০১৯ ও ২০২৪ সালে নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী ডিসি, এসপি ও ইউএনওদের বিচারের দাবি করেন।

এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।