জয়পুরহাট: রাজধানীর গুলশানে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপুর বাড়ি জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার পুনঘরদীঘি গ্রামে।
উপজেলা শহর থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে প্রত্যন্ত অঞ্চলে সেই বাড়িতে যেতে হলে মাটির রাস্তা মাড়িয়ে যেতে হবে।
স্থানীয়রা জানান, অপুর বাবা আনোয়ার হোসেন দুলাল ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। প্রায় আট বছর আগে তিনি মারা যান। পরে অপুর মা অন্যত্র বিয়ে করেছেন। ছোট বোন মায়ের সঙ্গে এবং অপু ঢাকায় থাকে। বাড়িটি বেশির ভাগ সময় তালাবদ্ধ থাকায় একেবারে ভূতুড়ে পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
সম্প্রতি গণমাধ্যমের সুবাদে অপুর গ্রেপ্তারের খবর শুনেছেন গ্রামের মানুষ। প্রতিবেশী মরজিনা বেগম, বিপ্লব হোসেন, আবুল কাশেম ও সোহাগ হোসেন বলেন, অপু ছোটবেলায় খুব ভালো ছিল। কি কারণে কার পাল্লায় পড়ে সে চাঁদাবাজির ঘটনায় জড়িয়ে পড়েছে এবং পরে মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছে, সেটা আমাদের জানা নেই।
অন্যদিকে আক্কেলপুর সরকারি এফইউ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মতিন বলেন, অপু মেধাবী ছিল। ২০১৭ সালে বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে এসএসসিতে খুব ভালো ফলাফল করেছিল। পরে ঢাকার কোথার ভর্তি হয়েছিল, আমার জানা নেই। তবে শুনলাম সে নাকি চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক।
তবে আক্কেলপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেরিন হোসেন বলেন, অপু ২০২০ সালের দিকে উপজেলা ছাত্রদলের কমিটিতে সদস্য পদে ছিলেন। কিন্তু নারী কেলেঙ্কারিসহ বিভিন্ন অভিযোগে তাকে দল থেকেবহিষ্কার করা হয়েছিল। পরে তিনি ঢাকায় গিয়ে অন্য দলে যোগদান করেন।
জয়পুরহাট জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরমান হোসেন কানন বলেন, সম্প্রতি এলাকায় এসে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা হিসেবে নিজেকে বিরাট ক্ষমতাধর ব্যক্তি বলে পরিচয় দিতেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, জয়পুরহাটের সাবেক পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলমসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদধারীদের সঙ্গে ছবি তুলে তা ফেসবুকে পোস্ট করে অনেক বড় কিছু হয়েছেন বলে বোঝাতেন। এজন্য গুলশানে চাঁদাবাজিতে তার জড়িত থাকার ঘটনায় বিস্মিত হইনি।
অপু বর্তমানে রাজধানীর গ্রিন ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের শিক্ষার্থী। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারীদের মধ্যে সামনের সারির একজন সমন্বয়ক হিসেবে তাকে দেখা যেত।
এসআই