লক্ষ্মীপুরের দক্ষিণ হামছাদীতে এক প্রবাসীর স্ত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়ে লোকলজ্জার ভয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনের নামে মামলা দায়ের হলে প্রধান আসামি ফারুককে (৩৪) গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১১।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) রাতে র্যাব-১১ নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিঠুন কুমার কুণ্ডু এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
এদিন দুপুরে অভিযুক্ত আসামিকে র্যাব-১০ এর সহযোগিতায় ঢাকায় রায়েরবাগ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ফারুক দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের গোপনাথপুর গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামের এক মালয়েশিয়া প্রবাসীর স্ত্রী তার আট বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে একা ঘরে বসবাস করেন। ওই গৃহবধূ রাস্তাঘাটে চলাচলের সময় অভিযুক্ত ফারুকসহ অন্যরা তাকে বিভিন্ন ভাবে উত্ত্যক্ত করত। বুধবার (২৩ জুলাই) সকালে তার মেয়ে বাড়ির পার্শ্ববর্তী নুরানী মাদরাসায় পড়তে গেলে ভিকটিম একা থাকার সুযোগে দুপরের দিকে ফারুকসহ তিনজন তাদের ঘরে ঢুকে লুকিয়ে থাকে। তার মেয়ে মাদরাসা থেকে ঘরে এলে মেয়েকে ধারালো চাকুর ভয় দেখিয়ে ঘর থেকে বের করে দেয় অভিযুক্তরা। পরে ওই গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় তারা। ধর্ষণের ঘটনায় আত্মসম্মানের ভয়ে ভিকটিম গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে তার ব্যবহৃত ইমো অ্যাকাউন্টে তার স্বামীর কাছে পাঠানো অডিও রেকর্ড পর্যালোচনা করে আসামিদের শনাক্ত করা হয়। এ ঘটনায় তার মা বাদী হয়ে সদর থানায় তিনজনের নামে মামলা দায়ের করেন।
র্যাব জানায়, এজাহারনামীয় পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু করা হয়। পরে ঢাকার কদমতলী থানাধীন রায়েরবাগ বাসস্ট্যান্ড মোড় থেকে মামলার প্রধান আসামি ফারুককে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। তাকে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরএ