মেহেরপুর: ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ হাসপাতালে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা মেয়ে রজনী খাতুন।
সোমবার (২১ জুলাই) বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর মেয়ে ঝুমঝুমকে উদ্ধার করতে তার ক্লাসরুমে ছুটে গিয়েছিলেন তিনি।
নিহত রজনী মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মটমুড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বাওট গ্রামের হামিদুল হকের মেজো মেয়ে।
চাকরির সুবাদে রজনীর স্বামী জহিরুল ইসলাম স্ত্রী-সন্তান নিয়ে উত্তরায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। জহিরুলের বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চর সাদিপুর গ্রামে। সেখানেই তার লাশ দাফন করা হবে বলে পারিবারিক সূত্র জানা গেছে।
তাদের মেয়ে ঝুমঝুম খাতুন (১২) মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে।
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর উত্তরা এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে প্রতিষ্ঠানে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লাগার পর মুহূর্তেই শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময় রজনী সেখানে অবস্থান করছিলেন। তিনি মেয়েকে আনতে তার ক্লাসরুমে ছুটে যান। তবে তার আগেই মেয়ে ঝুমঝুম স্কুলের বাইরে চলে গিয়েছিল। রজনী ভেতরে গিয়ে দগ্ধ হন। এ অবস্থায় ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মারা যান তিনি।
নিহত রজনীর ভাই আশিক জানান, মঙ্গলবার কুষ্টিয়ায় রজনীর লাশ দাফন করা হয়।
এ দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত ২৭ জন মারা গেছেন। এতে আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক। হতাহতদের বেশিরভোগই শিক্ষার্থী।
এসআই