ঢাকা, মঙ্গলবার, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২, ২২ জুলাই ২০২৫, ২৬ মহররম ১৪৪৭

সারাদেশ

গোপালগঞ্জে সহিংসতা: ৩ জনের লাশ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের নির্দেশ 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪:৪৯, জুলাই ২১, ২০২৫
গোপালগঞ্জে সহিংসতা: ৩ জনের লাশ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের নির্দেশ  কবরস্থানে পুলিশ

গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রায় হামলা-সহিংসতার ঘটনায় নিহত পাঁচজনের মধ্যে  তিনজনের মরদেহ কবর থেকে তুলে সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।  

সোমবার (২১ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনায় হওয়া মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা লাশ তোলার আবেদন করলে আদালত এ নির্দেশ দেন।

গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির মো. সাজেদুর রহমান জানান, সহিংসতায় নিহত হওয়ার  ঘটনায় করা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে লাশ তোলার আবেদন করেন আদালতে। পরে আদালত একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে নিহত রমজান কাজী, ইমন তালুকদার ও সোহেল রানার লাশ কবর থেকে তুলে সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্ত করার নির্দেশ দেন।  

এর আগে শনিবার রাতে সদর থানার চার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় চারটি হত্যা মামলা করেন। তিনটি মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে এক হাজার ৪০০ থেকে এক হাজার ৫০০ জনকে ও একটি মামলায় আসামি করা হয়েছে ৮০০ থেকে ৯০০ জনকে।  

গোপালগঞ্জ সদর থানার এসআই মো. আইয়ুব হোসেন বাদী হয়ে রমজান কাজী (১৭) নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা করেন। এতে আসামি করা হয়েছে ৮০০ থেকে ৯০৯ জনকে।  

দীপ্ত সাহা (২৭) নিহত হওয়ার ঘটনায় সদর থানার এসআই মো. শামীম হোসেন বাদী হয়ে ১৯ জুলাই গভীর রাতে অজ্ঞাতনামা এক হাজার ৪০০ থেকে এক হাজার ৫০০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।  

মোবাইল ব্যবসায়ী সোহেল রানা মোল্লা নিহত হওয়ার ঘটনায় বাদী হয়ে মামলা করেছেন একই থানার এসআই আবুল কালাম আজাদ। এতে আসামি করা হয়েছে এক হাজার ৪০০ থেকে এক হাজার ৫০০ জনকে।  

ইমন তালুকদারের মৃত্যুর ঘটনায় সদর থানার এসআই শেখ মিজানুর রহমান বাদী হয়ে এক হাজার ৪০০ থেকে এক হাজার ৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন।  

গত ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রা ও সমাবেশে হামলা চালায় আওয়ামী লীগ ও এর অন্যান্য সহযোগী সংগঠন। রাস্তায় গাছ ফেলে বন্ধ করে দেওয়া হয় গোপালগঞ্জ শহর থেকে বের হওয়ার বিভিন্ন রুট।  পুলিশ ও সেনাবহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে তাদের ওপরও হামলা চালানো হয়।   এতে আহত হন পুলিশ ও সাংবাদিকসহ অর্ধশতাধিক মানুষ। রণক্ষেত্রে পরিণত হয় পৌরপার্ক ও লঞ্চঘাটসহ গোপালগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকা। হামলা চালানো হয় কারাগারেও। এসব ঘটনায় পাঁচজন নিহত হন।


এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।