গোপালগঞ্জে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যেই সমাবেশ মঞ্চে উপস্থিত হয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় নেতারা। তারা নানা স্লোগান দিচ্ছেন, বক্তব্য দিচ্ছেন।
সমাবেশ মঞ্চে রয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারাসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।
এর আগে দুপুর দেড়টার দিকে এনসিপির জুলাই পদযাত্রার সমাবেশ মঞ্চে হামলা চালায় নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তারা সেখানে চেয়ার ভাঙচুর করে।
সকালে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কংশুর এলাকায় (ইউএনও) গাড়ি বহরে হামলা, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটায় ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এ ছাড়া সদর উপজেলার উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নে টহলরত পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুরের পাশাপাশি আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। জেলায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
এনসিপির জুলাই পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশ জানিয়েছে, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সভাস্থলের অদূরে পুলিশ ও এপিবিএনের সদস্যরা দাঁড়িয়ে রয়েছেন। পাশাপাশি এনসিপির জেলা কমিটির সদস্যরা কাজের তদারকি করছেন।
এদিকে টুঙ্গীপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি বা আশেপাশে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তাই সেখানে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, যথেষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ছয় শতাধিক সদস্য মোতায়েন রয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আমরা সজাগ রয়েছি।
আরএইচ