দেশের অন্যতম রপ্তানিমুখী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর। এই বন্দর দিয়ে ভারতের সেভেন সিস্টারস খ্যাত সাতটি অঙ্গ রাজ্যে প্রতিদিন হিমায়িত মাছ, শুঁটকি, ভোজ্য তেল, তোলা বর্জ্য, প্লাস্টিক পণ্য, পিভিসি সামগ্রী, প্রক্রিয়াজাত খাবারসহ রপ্তানি হয়ে থাকে।
তবে সম্প্রতি ভারত সরকারের ছয়টি পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞার ফলে নতুন করে সংকটে পড়েছে এই বন্দরের রপ্তানি বাণিজ্য। নিষেধাজ্ঞার আত্ততায় ছয়টি পণ্যের মধ্যে তৈরি পোশাক ও কাঠের ফার্নিচার ছাড়া তোলা বর্জ্য, প্রক্রিয়াজাত খাবার, প্লাস্টিক পণ্যসহ পিভিসি পাইপ রপ্তানি হয়ে থাকত। নিষেধাজ্ঞা থাকায় এসব পণ্য এই বন্দর দিয়ে রপ্তানির জন্য আসেনি। তবে দ্বিতীয় দিনে ৪৪ টন হিমায়িত মাছ, ১৩৫ টন ভোজ্য তেল ও ১৯ টন পাট রশি ভারতে রপ্তানি করা হয়।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে এই বন্দর দিয়ে ৪২৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকা এবং ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে গত ১১ মাসে রপ্তানি আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৪৫৩ কোটি টাকা। যা গত বছরের তুলনায় ২৬ কোটি টাকা রপ্তানি আয় বেড়েছিল।
বন্দরের ব্যবসায়ীরা বলেন, রপ্তানিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা এসব পণ্য নিষেধাজ্ঞার আত্ততায় থাকায় প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকার রপ্তানি আয় কমেছে। দু’দেশের কূটনৈতিক টানাপড়েনের সময় ভারত সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ব্যবসায়ীদের স্বার্থে দু’দেশের সরকারের কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত সমস্যাটি সমাধানের দাবি জানান তারা।
আখাউড়া স্থলবন্দের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি নিছার উদ্দিন ভুঁইয়া বলেন, আমাদের বন্দরটি রপ্তানিমুখী বন্দর। যেসব পণ্যে নিষেধাজ্ঞা এসেছে সেসব পণ্য আমরা বেশি রপ্তানি করি। ফলে ব্যবসায়ীসহ শ্রমিকরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সরকারের কাছে আমাদের চাওয়া সমস্যা সমাধান করে পুনরায় পণ্যগুলো রপ্তানি করার সুযোগ করে দেওয়া হোক।
আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান জানান, যেসব পণ্যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে সেসব পণ্য বন্দরে না আসায় রপ্তানি আয় অনেকটাই কমেছে। তবে দাপ্তরিকভাবে কোনো চিঠি এখনও আমাদের কাছে আসেনি।
আরএ