ঢাকা, শনিবার, ১ ভাদ্র ১৪৩২, ১৬ আগস্ট ২০২৫, ২১ সফর ১৪৪৭

জাতীয়

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ স্মরণে ডাকটিকিট অবমুক্ত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২:৪৫, অক্টোবর ৩০, ২০২০
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ স্মরণে ডাকটিকিট অবমুক্ত ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ডাকটিকিট অবমুক্ত করছেন, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ইউনেসকো ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ স্বীকৃতি দিয়েছে। এ উপলক্ষে ডাক অধিদপ্তর ১০ টাকা মূল্যমানের দুটি স্মারক ডাকটিকিটের সমন্বয়ে ৩০ টাকা মূল্যমানের একটি স্যুভেনির শিট অবমুক্ত করেছে।

এছাড়া এই উপলক্ষে ১০ টাকা মূল্যমানের একটি উদ্বোধনী খাম, পাঁচ টাকা মূল্যমানের একটি ডাটা কার্ড প্রকাশ করেছে ডাক অধিদপ্তর। শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার শুক্রবার ঢাকায় তার দপ্তর থেকে স্মারক ডাকটিকিট সমন্বয়ে স্যুভেনির ও উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত এবং ডাটা কার্ড প্রকাশ করেছেন। এই উপলক্ষে একটি বিশেষ সিলমোহর ব্যবহার করা হয়।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, জাতির হাজার বছরের পরাধীনতা থেকে মুক্তির ইতিহাসের চূড়ান্ত অভিযাত্রায় ঘটনাবহুল ১৮ মিনিটের ৭ মার্চের ভাষণটি ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় অধ্যায়, মুক্তির ঐতিহাসিক সোপান। এই ভাষণটি ছিল বঙ্গবন্ধুর উপস্থিত ভাষণ। এটির কোনো লিখিত পাণ্ডুলিপি ছিল না। বাঙালি জাতির পরাধীনতা থেকে মুক্তির আকাঙ্ক্ষা, বঞ্চনার হাহাকার, অত্যাচার, শোষণ, লাঞ্ছনা আর ক্ষোভ-হতাশার দীর্ঘশ্বাস, অধিকার হরণ ও মর্ম বেদনার কান্নার সুদীর্ঘ কাহিনী পরম্পরা বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে ছিল এই ভাষণ। এটি স্বাধীনতা সংগ্রামের পরিপূর্ণ এক দিকনির্দেশনা, ঐতিহাসিক ঘোষণা।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ডস ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার’-এ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার ইউনেসকো পরিচালিত বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণিক ঐতিহ্যের একটি তালিকা। তাই এই ভাষণ শুধু আমাদের সম্মান এনে দেয়নি। সমগ্র দেশ ও জাতিকেও সম্মান এনে দিয়েছে।

স্যুভেনির শিট ও উদ্বোধনী খাম শুক্রবার ঢাকা জিপিও-এর ফিলাটেলিক ব্যুরো থেকে বিক্রি করা হবে। পরবর্তীকালে অন্যান্য জিপিও ও প্রধান ডাকঘরসহ দেশের সব ডাকঘর থেকে এ স্মারক ডাকটিকিট, ডাটা কার্ড বিক্রি করা হবে। উদ্বোধনী খামে ব্যবহারের জন্য চারটি জিপিওতে বিশেষ সিলমোহরের ব্যবস্থা আছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২০
টিআর/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।