ঢাকা, সোমবার, ৩ ভাদ্র ১৪৩২, ১৮ আগস্ট ২০২৫, ২৩ সফর ১৪৪৭

জাতীয়

ধলেশ্বরী নদী থেকে নিখোঁজ প্রকৌশলীর মরদেহ উদ্ধার 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:৩৩, জানুয়ারি ১০, ২০২০
ধলেশ্বরী নদী থেকে নিখোঁজ প্রকৌশলীর মরদেহ উদ্ধার 

মুন্সিগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বুড়িগঙ্গা নদীতে নিখোঁজ বাংলা ক্যাট কোম্পানির প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান জিসানের (৩৫) মরদেহ মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

তিনি রাজশাহী জেলার বোয়ালিয়া থানার গোরহাঙ্গা গ্রামের মোখলেছুর রহমানের ছেলে।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) দুপুর ১টায় সিরাজদিখানের পুরান ভাষানচর গ্রাম সংলগ্ন ধলেশ্বরী নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

তবে এ ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছেন লিখন সরকার নামে আরও এক প্রকৌশলী।

সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদ উদ্দিন জানান, নিখোঁজ মাহফুজুর রহমান জিসানের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার বাম পায়ের গোড়ালি থেকে হাটু পর্যন্ত ক্ষতবিক্ষত ও কপালে কাটা দাগের চিহ্ন রয়েছে। পরিবারের সদস্যরা জিসানের মরদেহ শনাক্ত করেছেন। এ ব্যাপারে বিস্তারিত খতিয়ে দেখা হচ্ছে।  

জানা যায়, গত ৫ জানুয়ারি বিকেলে রাজধানীর আশুলিয়া থেকে বাংলা ক্যাট কোম্পানির দুই মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার (প্রকৌশলী) জিসান ও তার সহকর্মী লিখন ব্যক্তিগতভাবে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার রাজাপুর এলাকায় বুড়িগঙ্গা এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের ভেকু মেরামতের কাজে যান। কাজ শেষে রাত সাড়ে ১২টায় ফতুল্লা থেকে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন বলে জিসান তার স্ত্রীকে ফোন করে জানান। তবে ভোরে জিসান বাড়িতে ফিরে না আসায় তার স্ত্রী খোঁজ করতে গিয়ে জিসান ও তার সহকর্মী লিখনের মোবাইল ফোন বন্ধ পান।  

পরে বাংলা ক্যাট কোম্পানির কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবগত করা হলে তারা বুড়িগঙ্গা এন্টারপ্রাইজের মালিক সজীবের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সজীব জানান, রাত সাড়ে ৩টার দিকে তার কর্মচারী পায়েল ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে দু’জনকে বুড়িগঙ্গা নদী পার করে দেওয়ার সময় একটি জাহাজ কাছাকাছি এসে পড়লে ট্রলারের চালকসহ জিসান ও লিখন নদীতে ঝাঁপ দেন। ভোরে ট্রলার চালক পায়েল সাঁতরে ফিরে এলেও জিসান ও লিখন নিখোঁজ থাকেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।