বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বাজারটিতে বাজার মনিটরিং টিম প্রবেশ করে কাঁচাবাজারে মনিটরিং শুরু করেন। ভ্রাম্যমাণ টিমের উপস্থিতি টের পেয়েই একে একে পালাতে শুরু করেন মুদি দোকানিরা।
দোকানটিতে গিয়ে দেখা যায়, বিক্রির জন্য বস্তায় ভরে রাখা হয়েছে লাল চাল। বস্তার অবস্থা দেখে পরিষ্কার বোঝা যায় যে, নিয়মিত এই চাল বিক্রি করছেন ক্রেতা।
এসময় মনিটরিং টিমের সদস্যরা চালগুলো পরীক্ষা করে দেখেন। তাতে দেখা যায়, হাত দিয়ে সামান্য ঘষা দিলেই উঠে আসে এই রং। জুরাইন রেলগেট কাঁচাবাজার কমিটির নেতাদের মধ্যস্থতায় খুঁজে পাওয়া যায় জাহাঙ্গীর রাইস স্টোর নামে দোকানটির সত্বাধিকারী এম এ মোতালেবকে। জিজ্ঞাসাবাদে চালে রং থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন তিনি। তবে রং নিজে মিশান না বরং ডিলাররাই মেশান বলে জানান তিনি। জেনেশুনে রংমিশ্রিত চাল বিক্রির অপরাধে এই ব্যবসায়ীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে মনিটরিং টিম।
এসময় বাংলানিউজকে মাসুম আরেফিন বলেন, এটা একটি নতুন চক্র। দেশীয় আউশ ধানের চালের মূল্যমান বেশি। তাই কমদামি চাল বেশি দামে বিক্রির আশায় একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী এমনটা করেন। এসব চালে রংমিশ্রণের কারণে মানবদেহের কারণে তা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এছাড়াও ইট-পাথরের গুঁড়াও এর সঙ্গে মিশিয়ে মাপে বেশি দেখানো হয়।
এর আগে অভিযানে বাজারের দোকানগুলোতে মূল্যতালিকা পায়নি মনিটরিং টিম। এই অপরাধে বাজারের দুটো দোকানকে এক হাজার টাকা করে জরিমানা করে টিম। একই সঙ্গে বাজার কমিটিকে প্রতিটি দোকানে মূল্যতালিকার উপস্থিতি নিশ্চিত করতে মৌখিক আদেশ দেন।
কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলামকে সতর্ক করে মাসুম আরেফিন বলেন, আপনাদের বাজার কমিটি কী পদক্ষেপ নিচ্ছে? আপনারা যদি কাজ করতে না পারেন তাহলে আপনাদের কমিটি থাকার দরকার কি? আগামীকালের মধ্যে সব দোকানে মূল্যতালিকা ঝোলাবেন। নইলে আমি রোববার এসে বাজারের এক মাথা থেকে জরিমানা শুরু করবো আর আপনাদের বাজার কমিটির নিবন্ধন বাতিল করবো।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৯
এসএইচএস/এএ