রোববার (১২ মে) পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহা-পরিদর্শক (এআইজি) সোহেল রানা বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শনিবার (১১ মে) অভিযুক্ত উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইউসুফকে খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয় এবং এসআই মো. ইকবাল আহাম্মদকে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় সংযুক্ত করা হয়েছে।
পুলিশ সদর দফতর জানায়, নুসরাত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে পুলিশ সদর দফতরের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী অভিযুক্ত সবার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে এসপিসহ অভিযুক্ত চার পুলিশ সদস্যকেই অন্যত্র সংযুক্ত করা হয়েছে।
এআইজি সোহেল রানা বলেন, সাময়িক বরখাস্ত করে তাদের দূরবর্তী বিভিন্ন ইউনিটে সংযুক্ত করা হয়েছে। সংযুক্তি কোনো বদলি নয়। এটি শাস্তি প্রক্রিয়ার একটি অংশ। সংযুক্তিকালে তাদের কোনো দায়িত্ব দেওয়া হয় না।
গত ২৭ মার্চ ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাতকে যৌন নিপীড়নের দায়ে ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর ৬ এপ্রিল মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে অধ্যক্ষের সহযোগীরা নুসরাতের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নুসরাত মারা যান।
ওই ঘটনায় পুলিশের গাফিলতি খতিয়ে দেখতে ১৩ এপ্রিল পুলিশ সদর দফতরের ডিআইজি এসএম রুহুল আমিনের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সোনাগাজী ঘুরে এসে ৩০ এপ্রিল রাতে পুলিশ সদর দফতরে প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত কমিটি।
প্রতিবেদনে ফেনীর এসপি জাহাঙ্গীর আলম সরকার, সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন, এসআই ইকবাল ও এসআই ইউসুফের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে।
এছাড়া, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এনামুল কবিরের বিরুদ্ধেও দায়িত্বে অবহেলা ও গাফিলতির সুস্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৯
পিএম/আরআইএস/