ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

ডাকসু নির্বাচনে ‘ট্যাগ’ দেওয়ার রাজনীতির ভূমিধস পরাজয় হয়েছে: আসিফ নজরুল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:৫৮, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৫
ডাকসু নির্বাচনে ‘ট্যাগ’ দেওয়ার রাজনীতির ভূমিধস পরাজয় হয়েছে: আসিফ নজরুল আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল: ফাইল ফটো

ডাকসু নির্বাচনে বিজয়ী ছাত্রশিবিরের নেতাদের অভিনন্দন। স্বতন্ত্র প্রার্থী যারা জিতেছেন তাদের অভিনন্দন।

অভিনন্দন এ নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেওয়া সব অংশগ্রহণকারীদের।  

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এক স্ট্যাটাসে এভাবেই অভিনন্দন জানান অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

ওই স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, ছাত্রশিবিরের বিশাল বিজয় নিয়ে নানা বিশ্লেষণ চলছে এখন। আমি শুধু একটা কথা বলবো। এ নির্বাচনের মাধ্যমে ট্যাগ দেওয়ার রাজনীতির ভূমিধস পরাজয়  হয়েছে। হাসিনার আমলে শিবির ট্যাগ নিয়ে অগণিত শিবির কর্মী ও সাধারণ ছাত্রদের প্রতি অমানুষিক নির্যাতন হয়েছে। শিবির সন্দেহে পেটানোর পর পুলিশে সোপর্দের ঘটনা ছিল নিত্যনৈমিত্তিক। আমি অবিরামভাবে এর তীব্র প্রতিবাদ করেছি। নানা হুমকি ও আক্রমণ এসেছে, কখনো থামিনি।  

আইন উপদেষ্টা বলেন, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে এ থিমের ওপর ‘আমি আবুবকর’ নামের উপন্যাসও লিখেছি। এক বইমেলাতেই এটি ১১ বার মুদ্রণ করতে হয়েছিল। তখন এর কারণ বুঝিনি, এখন বুঝতে পারছি। শিবিরের নেতাদের প্রতি আমার অনুরোধ, গণঅভ্যূত্থানকারী সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করুন।  

তিনি বলেন, সলিমুল্লাহ হলে জুমার নামাজ পড়তে যাওয়ার সময়ে হলের ভেতর দিয়ে যেতাম। বারান্দায় চৌকি, মশারি আর ভাঙ্গা টেবিল চেয়ার দেখে বস্তির মতো লাগতো, ক্যান্টিন দেখে মনে হতো লঙ্গরখানা আর রুমগুলোর ভেতর তো উকি দিতেই ইচ্ছে হতো না। কতকিছু নেই আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। কত সমস্যা এখানে। আশা করি ফ্যাসিস্টমুক্ত এই বাংলাদেশে ঢাবির অন্তত আবাসিক শিক্ষাথীদের কিছু গুরুতর সমস্যা আপনারা দূর করে যাবেন। দোয়া।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সহ-সভাপতি (ভিপি) নির্বাচিত হয়েছেন শিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী সাদিক কায়েম। সাধারণ সম্পাদক (জিএস) নির্বাচিত হয়েছেন এস এম ফরহাদ।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষ হলেও সারারাত ধরে ভোটগণনা চলে। বুধবার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে সিনেট ভবনে ফল ঘোষণা করেন নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।

ভিপি পদে মো. আবু সাদিক ওরফে সাদিক কায়েম সর্বোচ্চ ১৪ হাজার ৪২ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত আবিদুল ইসলাম খান পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৭০৮ ভোট।

জিএস পদে শিবির সমর্থিত প্রার্থী এস এম ফরহাদ পেয়েছেন ১০ হাজার ৭৯৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত শেখ তানবীর বারী হামিম পেয়েছেন পাঁচ হাজার ২৮৩ ভোট।

সহ-সাধারণ সম্পাদক বা এজিএস পদে শিবির সমর্থিত প্যানেলের মো. মহিউদ্দিন খান বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১১ হাজার ৭৭২ ভোট।

এরইমধ্যেই কারচুপির অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্যের ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমা ও ছাত্রদলের আবিদুল ইসলাম খান। ভিপি প্রার্থী হিসেবে উমামা ফাতেমা মোট পেয়েছেন তিন হাজার ৩৮৯ ভোট। বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেলের আব্দুল কাদের পেয়েছেন এক হাজার ০৩ ভোট।

নির্বাচনে কোনও কারচুপি হয়নি, বরং একটি মডেল নির্বাচন হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।

জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।