শনিবার (১১ মে) বিকেলে উপজেলার ঘিলাতৈল গ্রামে ওই নববধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত হেলেনা বেগম ওই গ্রামের শামীম আহমদের স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, চার মাস আগে শামীম আহমদের সঙ্গে হেলেনা বেগমের বিয়ে হয়। শুক্রবার হেলেনার বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়িতে ইফতারি পাঠানো হয়। সেই ইফতারি নিয়ে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের গালমন্দ শুনতে হয় তাকে। এরই জের ধরে শনিবার বিকেলে নিজ ঘরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন হেলেনা।
বাড়ির লোকজন ঘটনাটি দেখতে পেয়ে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে মরদেহ নামিয়ে থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহতের স্বামী শামীম আহমদ বলেন, প্রতিদিনের মতো শনিবারও কাজে যাওয়ার সময় স্ত্রীকে হাসিখুশি দেখে যাই। আত্মহত্যার খবর জানতে পেরে কর্মস্থল থেকে ফিরে আসি এবং হেলেনার মরদেহ বারান্দায় রাখা অবস্থায় দেখতে পাই।
জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. মাইনুল জাকির বলেন, মরদেহে আত্মহত্যারই আলামত মিলেছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ইফতারি নিয়ে গালমন্দের ব্যাপারে জানতে চাইলে ওসি বলেন, ঘটনাটি শুনেছি, তবে সত্যতা পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে মেয়ের পিত্রালয়ের কোনো অভিযোগ নেই। দুই পরিবারই বলছে সবকিছু ঠিক ছিলো। অবশ্য ময়না তদন্তে কী রিপোর্ট আসে তার অপেক্ষায় রয়েছি।
বাংলাদেশ সময়: ২৩২৬ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৯
এনইউ/এমজেএফ