শনিবার (১১ মে) নিহতের মা আনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে সাতজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।
গত শুক্রবার (১০ মে) সকালে উপজেলার মহজমপুর যুগিপাড়া গ্রামের পাশে পরিত্যক্ত ইনফিনিটিভ ডাটা পাওয়ার লিমিটেড কারখানার ভেতর থেকে রুবেলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের মহজমপুর উত্তর কাজীপাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেন ওরফে পুইক্কার ছেলে রুবেল হোসেন। গত ৯ মে রাতে একটি অজ্ঞাত ফোন নম্বর থেকে কল করে তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই রাতে রুবেল আর বাড়ি ফেরেননি। পরদিন সকালে ইনফিনিটিভ ডাটা পাওয়ার লিমিটেড নামে একটি পরিত্যক্ত কারখানার ভেতর রুবেলের মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
আনোয়ারা বেগম বলেন, তার ছেলে রুবেলের সঙ্গে এলাকার কয়েক যুবকের শত্রুতা ছিল। তারাই রুবেলকে হত্যা করে মরদেহ গুম করার জন্য পরিত্যক্ত কারখানার ভেতরে ফেলে পালিয়েছে।
এ ঘটনায় চাঁন মিয়া, মোজাম্মেল হোসেন, আজম আলী, আফজল হোসেন, মাসুম মিয়া, রমজান মিয়া ও শরীফের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, নিহত রুবেল মাদক ব্যবসায়ী ও চিহ্নিত চোর। ওই কারখানায় চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে নিরাপত্তাকর্মীদের মারধরে তিনি মারা যেতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সোনারগাঁ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হেলাল উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, নিহতের মা আনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে সাতজনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার তদন্ত চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৪ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৯
একে