শনিবার (১১ মে) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উদ্যোগে ৫ম বিশ্ব নিরাপদ সড়ক সপ্তাহ ২০১৯ উপলক্ষে মহাসড়কের ইন্টারসেকশনগুলোতে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ক জাতীয় কর্মশালায় বক্তারা এ কথা বলেন। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আলম হাসানের সভাপতিত্বে দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম।
কর্মশালায় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উদ্যোগে দেশের জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কের ছয়শ তিরানব্বইটি সড়ক সংযোগস্থল বা ইন্টারসেকশনের ওপর এক সমীক্ষা প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। সমীক্ষা প্রতিবেদনের উপর বিশেষজ্ঞরা আলোচনা শেষে সুপারিশমালা চূড়ান্ত করেন।
বক্তারা বলেন, মহাসড়কের পাশের অস্থায়ী হাটবাজার সরানো জরুরি। নিরাপদ সড়কের জন্য আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। পাশাপাশি সচেতনতা বাড়াতে পাঠ্যপুস্তকে ট্রাফিক বিধি সংযোজন করতে হবে। ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার ও যত্রতত্র রাস্তা পারাপার বন্ধে আরো কঠোর আইন প্রয়োগ করতে হবে। মহাসড়কের ইন্টারসেকশনগুলোকে সঠিক ব্যবস্থাপনা ও সার্বক্ষণিক নজরদারিতে আনতে হবে। দূর করতে হবে সড়কের নির্মাণজনিত ক্রুটি।
সড়ক পরিবহন সচিব নজরুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। মহাসড়কের নির্মাণ তথা প্রকৌশলজনিত ত্রুটি দূর করতে প্রকৌশলীরা সচেষ্ট। এর পাশাপাশি আইনের যথাযথ প্রয়োগ এবং জনসচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি জানান, সমীক্ষার তথ্য পর্যালোচনা করে প্রাপ্ত সুপারিশমালা বাস্তবায়ন করা হবে।
দিনব্যাপী কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের চেয়ারপারসন ইলিয়াস কাঞ্চন, বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মিজানুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আজিজুর রহমান, হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি আতিকুল ইসলাম, সড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. বেলায়েত হোসেন, প্রকৌশলী আব্দুল ওয়াহিদ ও প্রকৌশলী ফজলুল করিম।
এছাড়া সড়ক প্রকৌশলীসহ নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি, হাইওয়ে পুলিশ, পরিবহন মালিক-শ্রমিক প্রতিনিধি এবং অন্যান্য অংশীজন উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৯
জিসিজি/জেডএস