তেমনই একজন বৃদ্ধ রিকশাচালক আমির হোসেন। বয়সের ভারে ক্লান্ত, তবুও তাকে জীবনের তাগিদে প্রচণ্ড গরম উপেক্ষা করেই রিকশা চালাতে হচ্ছে।
গত কয়েকদিন ধরেই প্রচণ্ড তাপদাহে পুড়ছে সারাদেশ। অসহনীয় গরমে অতিষ্ঠ রাজধানীর সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে ঢাকার শ্রমজীবী মানুষের কাজ করতে খুব কষ্ট হচ্ছে। যদিও বৈশাখের এমন সময়ে গরম থাকাটাই স্বাভাবিক। এটিই আবহাওয়ার চিরায়ত নিয়ম, কিন্তু তাপমাত্রাটা স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক ডিগ্রি বেশি হওয়ায়ই বিপত্তি। আবহওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদেরা বলেছেন, আগামী সোমবার (২৯ এপ্রিল) পর্যন্ত তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রির উপরে বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা হ্রাস পাবে।
জীবনের প্রয়োজনে যেন গরমের সঙ্গে রীতিমতো যুদ্ধ করছেন ভ্যানচালক আসমত মিয়া। কয়েকদিনের প্রচণ্ড গরম উপেক্ষা করেই ভ্যানে মালামাল বহন করে আসছেন। শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর কুড়িল এলাকায় কথা হয় আসমত মিয়ার সঙ্গে।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, রোদ হোক আর বৃষ্টি হোক, ভ্যানের প্যাডেল ঘুরাতে হবে। যদিও অনেক ক্লান্ত লাগে, কিন্তু পেটের তাগিদে ভ্যানের প্যাডেল আর থামে না।
আসমত মিয়ার মতো অন্য সবারই রিকশা কিংবা ভ্যান গাড়ির প্যাডেলে পা রেখেই বেঁচে থাকার ভরসা ওদের। শুধু রিকশা কিংবা ভ্যান চালকই নন, গরম উপেক্ষা করেই রাস্তার পাশে বসে ডাব, শরবতসহ বিভিন্ন পানীয় বিক্রি করছেন অনেকে। আবার কেউবা পাইকারি বাজারে মালামাল উঠানামা শ্রমিকের কাজ করছেন। গরম কিংবা বৃষ্টি শ্রমজীবী মানুষের কোনো বিশ্রাম নেই। জীবনের গতিতে চলছে তাদের কাজকর্ম।
রাজধানীর নতুন বাজার এলাকার ডাববিক্রেতা সম্রাট বলেন, একদিন বসে থাকলে পরিবার চলবে না। তাই গরম হোক আর বৃষ্টি হোক, আমাদের কোনো অবসর নেই।
আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য মতে, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাঙামাটিতে দেশের সর্বোচ্চ ৩৭ ডিগ্রি সেলিসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আর ঢাকাতে সর্বোচ্চ ছিলো ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে তিনদিন ধরে চলা তাপপ্রবাহ শনিবার (২৭ এপ্রিল) থেকে কমে আসছে।
শনিবার ঢাকায় তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে। আবহাওয়া অধিদফতর এমন পূর্বাভাস দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৯
টিএম/এএটি