সরকারি কর্মচারীদের চিকিৎসায় অনুদান মঞ্জুরির হার পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। জটিল ও ব্যয়বহুল রোগের চিকিৎসা অনুদান দুই লাখ থেকে বেড়ে তিন লাখ টাকা করা হয়েছে।
সাধারণ চিকিৎসা অনুদান ৪০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৬০ হাজার টাকা করা হয়েছে। গত ১৯ আগস্ট জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এর আগে এতে সম্মতি দিয়েছে কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের প্রস্তাব ও অর্থ মন্ত্রণালয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব তাসলিমা আলীর সই করা প্রজ্ঞাপনে সরকারি কর্মচারীদের দাফন বা অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুদান ৩০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে।
কর্মচারীদের পরিবারের সদস্য মারা গেলেও দাফন বা অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুদান পান, সেটি ১০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে।
এ ছাড়া যৌথবিমার এককালীন অনুদান দুই লাখ থেকে বাড়িয়ে তিন লাখ টাকা করেছে সরকার। মাসিক কল্যাণ ভাতা দুই হাজার থেকে বাড়িয়ে তিন হাজার টাকা করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বরাদ্দ করা অর্থ ও নিজস্ব রিসোর্স সেলিংয়ের মধ্যে এ ব্যয় নির্বাহ করতে হবে। এ বাবদ অতিরিক্ত বরাদ্দ দাবি করা যাবে না। প্রাপ্যতা নিশ্চিত হয়ে অনুদান প্রদান করতে হবে। এ ব্যয়ে সব ধরনের আর্থিক বিধি-বিধান অনুসরণ করতে হবে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, জটিল রোগের জন্য বছরে একবার আবেদন করা যায়। সরকারি কর্মচারীরা অবসরে গেলেও জটিল এবং সাধারণ রোগের জন্য অনুদান সুবিধা পান। সরকারি কর্মচারীদের পরিবারের সদস্যদেরও ৭৫ বছর বয়স পর্যন্ত চিকিৎসা অনুদান সুবিধা দেয় সরকার।
আরএইচ