তিন দফা দাবি আদায়ে ডিএমপি কার্যালয়ের দিকে যাত্রা করা বুয়েটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা মৎস্য ভবনের সামনে অবরোধ করেছেন। এ সময় তারা ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’ ‘অ্যাকশন টু অ্যাকশন ডাইরেক্ট অ্যাকশন’সহ নানা স্লোগান দেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে তারা মৎস্য ভবন গোলচত্বরে আসেন। এ সময় এই গোলচত্বরের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ। শিক্ষার্থীরা সেখানে রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলমের কুশপুতুল পোড়ান।
এর আগে বিকেলে তিন দফা দাবি আদায়ে আন্দোলনরত বুয়েটসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কার্যালয়ের দিকে যাত্রা করেন। প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা মিছিলটি শহীদ মিনার, টিএসসি, দোয়েল চত্বর, শিক্ষা ভবন হয়ে প্রেস ক্লাব এলাকা দিয়ে হাইকোর্টের সামনে দিয়ে এগোতে থাকেন।
ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের নামের আগে প্রকৌশলী লিখতে না দেওয়া, ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের কাউকে পদোন্নতি দিয়ে নবম গ্রেডে উন্নীত না করা এবং দশম গ্রেডের চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে স্নাতক প্রকৌশলীদের সুযোগ দেওয়া—এই তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা।
তারা মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) পাঁচ ঘণ্টা শাহবাগ অবরোধ করেন। এরপর বুধবার (২৭ আগস্ট) পূর্বঘোষিত ‘লংমার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা শাহবাগের মূল সড়কে অবস্থান নেন। এতে শাহবাগ ও আশপাশের সড়ক বন্ধ হয়ে যায়।
আন্দোলনকারীরা বেলা দেড়টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভন যমুনা অভিমুখে রওনা দেন। তারা ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের মোড় পেরোনোর চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। তখন পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের পাশাপাশি পুলিশ লাঠিচার্জও করে। এ সময় কিছু শিক্ষার্থী ও কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন। এরপর শিক্ষার্থীরা আবার শাহবাগে ফিরে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
এমএমআই/ডিএইচবি/এএটি