বাংলাদেশ সময় শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১০টা ৫ মিনিটের দিকে সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে জানান বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান।
মরহুমের স্ত্রী দিনারজাদী বেগম, ছোট মেয়ে ডা. নুসরাত হুমায়রা, ছোট মেয়ের জামাতা মিনহাজুল হক হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন।
সব প্রক্রিয়া শেষে রবি বা সোমবার মাহফুজ উল্লাহর মরদেহ দেশে আনা হবে বলে জানিয়েছেন মরহুমের বড় মেয়ে মুসাররাত হুমায়রা অঙ্গনা।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
১৯৫০ সালের ১০ মার্চ নোয়াখালীতে জন্ম নেওয়া মাহফুজ উল্লাহ বাংলাদেশের প্রতিটি অধিকার আদায়ের আন্দোলনের একজন নেতৃস্থানীয় কর্মী। ছাত্রাবস্থায়ই সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত হন তিনি।
বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় সাপ্তাহিক বিচিত্রাসহ দেশের বিভিন্ন নেতৃস্থানীয় বাংলা ও ইংরেজি দৈনিকে কাজ করেছেন। মাঝে চীন গণপ্রজাতন্ত্রে বিশেষজ্ঞ, কলকাতার বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসে কূটনীতিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগেও খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কাজ করেন সিনিয়র এই সাংবাদিক।
সেন্টার ফর সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি জেনারেল মাহফুজ উল্লাহ বাংলাদেশে পরিবেশ সাংবাদিকতার সূচনা করেন। রাজনীতি উন্নয়ন ও পরিবেশ বিষয়ে বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় লেখা তার বইয়ের সংখ্যা পঞ্চাশের বেশি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট সদস্য এবং আন্তর্জাতিক পরিবেশবাদী সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর করজারভেশন অব নেচারের একজন নির্বাচিত সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। পরে তিনি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত হন।
মাহফুজ উল্লাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যা ও সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর করেন। তার বাবা শিক্ষাবিদ মরহুম হাবিবুল্লাহ ও মাতা মরহুমা ফয়জুননিসা বেগম। তৎকালীন ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা কমরেড মোজাফফর আহমদের নাতি সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৯
এমএইচ/এমজেএফ