অসৎ উদ্দেশ্যে কর্ণফুলী টানেলে সরকারের ৫৮৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা আর্থিক ক্ষতিসাধন করায় সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ চারজনের নামে মামলা অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলার বাকি তিন আসামি হলেন, সেতু বিভাগের সাবেক সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, সাবেক প্রধান প্রকৌশলী কবির আহমদ ও সাবেক যুগ্ম সচিব আলীম উদ্দিন আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, পিপিএ, ২০০৬ এর সংশ্লিষ্ট ধারা লঙ্ঘন করে বিদেশি বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মূলত পছন্দমতো ব্যক্তিকে বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিয়োগ দিয়ে নিজেরা লাভবান হওয়ার জন্য ও অন্যকে লাভবান করার জন্য তাদের দিয়ে ৩৩টি কাজ (১) পরিষেবা এলাকা, (২) পর্যবেক্ষণ সফটওয়্যার এবং (৩) একটি ট্যাগ বোট প্রকল্পে। অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে সুপারিশ নেওয়ার প্রচেষ্টা ষড়যন্ত্রমূলক ও অপরাধজনক অসদাচরণ। কিন্তু তারাও সুনির্দিষ্টভাবে ওই তিনটি প্রকল্পের অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে সুপারিশ করেননি।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং সেতু বিভাগের অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা নেগোসিয়েশন কমিটি কর্তৃক নির্ধারিত নেগোসিয়েশন মূল্যকে উপেক্ষা করে ও বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ না থাকা সত্ত্বেও কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ প্রকল্পে অতিগুরুত্বপূর্ণ নয়, এমন তিনটি কাজ (১) পরিষেবা এলাকা, (২) পর্যবেক্ষণ সফটওয়্যার এবং (৩) একটি ট্যাগ বোট অন্তর্ভুক্তির কার্যক্রম নেওয়ার আগে এই অনুমোদন করে ৫৯ দশমিক ৮০ মিলিয়ন ডলার ৫শ ৮৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা (বিল পরিশোধকালীন এক ডলার ৯৭ দশমিক ৮৭৭ টাকা হিসাবে) জনগণের/সরকারের আর্থিক অপচয়/ক্ষতিসাধন করায় দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সালে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা কমিশন একটি মামলা অনুমোদন করেছে।
এসএমএকে/এএটি