শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রংপুর র্যাব-১৩ এর সদরদফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক।
তিনি জানান, রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার সোম নারায়ণ গ্রামের বুধু মিঞ্জির ছেলে রতন মিঞ্জির সঙ্গে মিঠাপুকুরের ওই নৃ-গোষ্ঠী পল্লীর এক স্কুলছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
১৮ এপ্রিল মোবাইলে ওই ছাত্রীকে রংপুর শহরে দেখা করতে বলে প্রেমিক রতন। রতনের ডাকে সাড়া দিয়ে বিকেলে দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক চাচাতো বোনকে সঙ্গে নিয়ে ভগ্নিপতির বাড়ি পীরগাছায় যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের যায় ওই ছাত্রী। তারা রংপুর শহরের মাহিগঞ্জ এলাকায় পৌঁছালে সেখানে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা রতন ও তার দুই বন্ধু হযরত এবং মামুন মিলে একটি ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে তাদের ধর্ষণ করে। এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য তারা দু’জনকে প্রাণনাশের হুমকিও দেয়।
এতে দুইবোন ভীত হয়ে কাউকে কিছু না বলে পরদিন ১৯ এপ্রিল বাড়ি ফেরে। এরপর লজ্জা এবং ক্ষোভে ওই দিন বিকেল ৫টার দিকে নিজকক্ষে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে ওই স্কুলছাত্রী। বিষয়টি প্রথমে কেউ না জানলেও পরে ওই ছাত্রীর মোবাইল ফোনে রতনের ছবি এবং তাকে উদ্দেশ্য করে লেখা ক্ষুদে বার্তায় আত্মহত্যার নেপথ্যের কারণ বেরিয়ে আসে।
র্যাব-১৩ এর অধিনায়ক আরও জানান, ঘটনার পাঁচদিন পর ২৩ এপ্রিল আত্মহত্যাকারী ছাত্রীর এক বোন বাদী হয়ে রতনসহ তিনজনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেন। এরপর ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার সাভার এলাকায় আত্মগোপনে থাকা রতন মিঞ্জিকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রতন মিঞ্জি ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৯
ওএইচ/