শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দিনগত রাত ৯টার দিকে উপজেলার মহারাজপুর খেদুর ব্রিজের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, কয়দিন আগে শেষ হওয়া উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মহসীন রেজা।
এলাকাবাসী জানায়, শুক্রবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিক সিরাজ মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে খেদুর ব্রিজের পাশে পৌঁছালে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা নব নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলামের জামাই শামীম, তার ভাই শাহীন, দেলোয়ার, ইকবাল, ইয়াকুব, আক্তারুল, কামাল, আসাদুল, জুবায়ের, আবু সাঈদসহ ১৪ থেকে ১৫ জন ধারালো অস্ত্র দিয়ে সিরাজকে কুপিয়ে জখম করেন। তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটিও ভাঙচুর করে নদীতে ফেলে দেয়। পরে সিরাজের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেক বিশ্বাস বাংলানিউজকে জানান, হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিরামপুর গ্রামের শহীদুজ্জামান ওরফে জামালের ছেলে শাহীনকে (২৫) এলাকাবাসীর সহায়তায় দা’সহ আটক করেছে পুলিশ। বাকিদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে সাংবাদিক সিরাজের ওপর হামলায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মিজানুর রহমান মিলটনসহ কর্মরত সাংবাদিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তারা এ ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
দৈনিক খুলনাঞ্চলের সম্পাদক ও প্রকাশক মিজানুর রহমান মিলটন বাংলানিউজকে বলেন, খুলনাঞ্চলে শুক্রবার একটি নিউজ হয়েছিলো ‘কয়রায় নৌকায় ভোট দেওয়ার অপরাধে আওয়ামী লীগের ৫০০ নেতাকর্মী প্রাণভয়ে বাড়ি ছাড়া’ এই শিরোনামে। মূলত এ নিউজের জের ধরে তার হামলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০১৯
এমআরএম/এসএ/এএটি