ঢাকা, শনিবার, ১ ভাদ্র ১৪৩২, ১৬ আগস্ট ২০২৫, ২১ সফর ১৪৪৭

জাতীয়

পুড়ে যাওয়া ক্রোকারিজ পণ্য বিক্রিতে ব্যস্ত ব্যবসায়ীরা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:৪২, মার্চ ৩১, ২০১৯
পুড়ে যাওয়া ক্রোকারিজ পণ্য বিক্রিতে ব্যস্ত ব্যবসায়ীরা আগুনে পোড়া ক্রোকারিজ পণ্য কিনতে ক্রেতাদের ভিড়। ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: আগুনে কেড়ে নিলো রাজধানীর গুলশানের ডিএনসিসি কাঁচা ও সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ীদের স্বপ্ন। শনিবার (৩০ মার্চ) ভোরে লাগা আগুনে প্রায় দুই শতাধিক ব্যবসায়ীর দোকানের মালপত্র পুড়ে যায়।

আগুন লাগার পর একদিন রোববার (৩১ মার্চ) সকাল ১১টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পুড়ে যাওয়া হান্ডি বাসন বা ক্রোকারিজ পণ্য বিক্রিতে ব্যস্ত ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা।

অর্ধেক পুড়ে যাওয়া এসব পণ্য কিনতে ক্রেতারাও ভিড় করছেন।

তবে যারা দুধ ও শিশু পণ্যের ব্যবসায়ী ছিলেন। তাদের তো মাথায় হাত। কারণ এসব পণ্যে আগুন লাগলে অবশিষ্ট থাকে না। আগুনে পোড়া ক্রোকারিজ পণ্য কিনতে ক্রেতাদের ভিড়।  ছবি: জিএম মুজিবুরহারমনির কড়াই, চামচ, গ্লাস, পাতিলসহ হরেক রকম পণ্য নিয়ে মার্কেটের সামনেই বসেছেন ব্যবসায়ীরা। তবে অর্ধেক মূল্যে এসব পণ্য বিক্রি করায় বেশ বিক্রি হচ্ছে বলে জানালেন ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমার চারটি দোকানই ছিলো ক্রোকারিজের। পুড়ে যাওয়া দোকানের কিছু মালপত্র অর্ধেক পুড়ছে। এসব পণ্য দোকানের কর্মচারীরা বিক্রি করছেন।

আরেক ক্রোকারিজ ব্যবসায়ী আওলাদুল হক বলেন, যে কড়াই’র দাম ৮০০ টাকা, সেটা এখন ৪০০ টাকায় বিক্রি করেছি। এভাবে কিছু জিনিস একেবারে পানির দামে আবার কিছু জিনিস অর্ধেক দামে বিক্রি করছি। আগুনে পোড়া ক্রোকারিজ পণ্য কিনতে ক্রেতাদের ভিড়।  ছবি: জিএম মুজিবুরব্যবসায়ী আহসান উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ভাই, এখন যাই দাম পাইলাম, সেটাই লাভ। কারণ আগুনে পুড়ে গেলে তো পাওয়ার কিছু থাকে না।

তাসফিয়াহ হক নামে এক ক্রেতা একটি বড় কড়াই সাড়ে ৩০০ টাকা ও একটি বড় বউল (বাটি) কিনেছেন ২০০ টাকা দিয়ে।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ব্যবহার করা গেলেই  টাকা উসুল হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ৩১,২০১৯
টিএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।