ঢাকা, সোমবার, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

নাটোরে শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় দু'জনের মৃত্যুদণ্ড

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭:৩৪, এপ্রিল ১৮, ২০১৮
নাটোরে শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় দু'জনের মৃত্যুদণ্ড দুই আসামি

নাটোর: নাটোরে মায়া খাতুন (১১) নামে একটি শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে দু'জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১৮ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে নাটোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং শিশু আদালতের বিচারক মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান এ আদেশ দেন।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন-নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার ব্রক্ষ্মপুর গ্রামের (পশ্চিম অংশের) টিপুর ছেলে মো. মোবারক হোসেন ওরফে কালু (২৪) ও একই উপজেলার কাশিয়াবাড়ি গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে মো. মিঠুন (২৫)।

নিহত মায়া একই উপজেলার ব্র²পুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের জহুরুল ইসলাম ওরফে মানিক প্রামাণিকের মেয়ে। সে ইয়ারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও নাটোর জজ কোর্টের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট একেএম শাজাহান কবির বাংলানিউজকে জানান, মায়া ২০১৫ সালের ২৭ জুলাই সকালে প্রাইভেট পড়া শেষে ক্লাস শুরুর  আগে স্কুলে যায়। ওই সময় একা পেয়ে কালু ও মিঠুন তাকে চকলেটের লোভ দেখিয়ে পাশের ইয়ারপুর স্লুইচ গেটের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যান। সেখানে তারা যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট খেয়ে হাত-পা বেঁধে মায়াকে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের সময় শিশুটি চিৎকার করলে তারা গলা টিপে তাকে হত্যা করে মরদেহ ফেলে রেখে যান। তারা মায়ার কান থেকে সোনার এক জোড়া দুলও খুলে নিয়ে যান। ওইদিন বিকেলেই তারা রাজশাহীর তাহেরপুর বাজারের একটি স্বর্ণের দোকানে সেই দুল বিক্রি করে টাকা ভাগাভাগি করে নেন।

অপরদিকে, বিকেলে মায়া বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুজি শুরু করেন। পরে সন্ধ্যার দিকে স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে স্লুইচ গেট এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে কালু ও মিঠুনকে গ্রেফতার করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তারা পুলিশের কাছে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেন।  

একেএম শাজাহান কবির আরো জানান, তারা মায়াকে ধষর্ণের জন্য তিনদিন আগে থেকে পরিকল্পনা করেছিলেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা ইয়ারপুর বাজারের একটি দোকান থেকে কনডম ও মায়ার জন্য চারটি চকলেট কিনেছিলেন।  

ঘটনার দিনগত রাতেই শিশুর বাবা বাদী হয়ে নলডাঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি নলডাঙ্গা থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) মো. ওয়াজেদ আলী খান তদন্ত শেষে একই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে চার্জশিট দেন। মামলার দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় দুপুরে এ রায় দেন বিচারক। এসময় দুই আসামি আদালতে উপস্থিতি ছিলেন।  

মামলায় আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট সেলিম হোসেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৮
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।