বুধবার (১৮ এপ্রিল) গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিকি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দুপুর দুইটায় এ বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গুলশান থানার পক্ষ থেকে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে গত সোমবার (১৬ এপ্রিল) ওই শো-রুম থেকে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা চুরি হওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়।
এরপর ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ওসি আবু বক্কর সিদ্দিকি বাংলানিউজকে জানান, পহেলা বৈশাখের দিন রাতে কর্তৃপক্ষ দোকান বন্ধ করে চলে যায়। সোমবার সকালে দোকান খুলে ক্যাশে রাখা অর্ধেক টাকা পাওয়া যায়নি। দোকানে সাজানো শত শত ভরি স্বর্ণ থাকলেও প্যাকেটে রাখা কিছু স্বর্ণ পাওয়া যাচ্ছে না। আর কর্তৃপক্ষ এখনও কোনো হিসেব দেয়নি।
বিষয়টি ‘রহস্যজনক’ উল্লেখ করে তিনি সে সময় বলেন, মার্কেটের ছাদের একটি অংশে নতুন ঢালাই পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, চোর এখান দিয়ে প্রবেশ করে চুরি শেষে ফের ঢালাই করে পালিয়েছে।
তবে পরেরদিন মঙ্গলবার (১৭ এপ্রিল) চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ থেকে আমিন জুয়েলার্স থেকে চুরি যাওয়া ২১৭ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ ১১ লাখ ২৪ হাজার টাকা উদ্ধার করে পুলিশ।
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ্ আলম বাংলানিউজকে বলেন, শনিবার (১৪ এপ্রিল) দিনগত রাতে ফরিদগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম চরবড়ালী গ্রামের আনোয়ার হোসেন গাজী আনুর ছেলে সাদ্দামসহ (২৫) চোর চক্রের সদস্যরা আমিন জুয়েলার্স থেকে স্বর্ণ ও নগদ টাকা চুরি করে। পরে টাকা ও স্বর্ণ নিয়ে সাদ্দাম তার খালার বাড়ি চরবড়ালী রাজা অন্ধের বাড়িতে রাখেন।
সাদ্দাম ও তার বাবা ঢাকায় থাকতেন। কিন্তু চুরির ঘটনার পর সাদ্দামের বাবা আনোয়ার তার খালার বাড়িতে অবস্থান করেন। আর সাদ্দাম পলাতক রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৮
এমএসি/জেডএস